রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরে এক নারী ইউপি সদস্যর পরিবারের সাথে জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ মোতালেব ও কুরছিয়া বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথার কাটাকাটি ও গালমন্দ হয়। গালমন্দের এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ মো.মোতালেব হোসেন(৫০),কুরছিয়া বেগম(৪৫),তমা বেগম(৩০)নারী ইউপি সদস্য মোসা.নাজমা আক্তার মুক্তা(৪০)কে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা যখম করে। নাজমা আক্তার মুক্তা রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে ১,২,৩ নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যর স্বামী মো.মজিবুর রহমান মৃর্ধা বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় জি.ডি করেন যার নং ঃ- ৩২৬।
জিডি সূত্রে জানাযায়, ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার মুক্তা ও বিবাদী মো.মোতালেব হোসেন(৫০),পিতা-মৃত লেহাজ উদ্দিন,কুরছিয়া বেগম(৪৫),স্বামী মোতালেব হোসেন,তমা বেগম(৩০),স্বামী বেল্লাল ওরফে শাহিন এদের সাথে একই এলাকায় বসবাস করে।নাজমা আক্তার মুক্তা ও তার স্বামী মজিবর রহমান মৃর্ধার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিবাধীদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে কথার কাটাকাটি হয়। কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিবাধীরা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। গালমন্দের প্রতিবাদ করলে বিবাধীরা নারী ইউপি সদস্য নাজমাকে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা যখম করে। এ সময় নাজমা আক্তারের মেয়ে তার মা নাজমা আক্তারকে বাচাঁতে আসলে তাকেও পিটাইয়া ফুলা যখম করে। এক পর্যায়ে তাদের ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোক জন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। নাজমা আক্তার প্রায় এক সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি থাকার পর এখন বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়া করা, মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো,নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা,মানহানির চেষ্টা সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা অভিযুক্ত মোতালেব হোসেন সহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে।
রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.মামুন জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply