নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে সদ্য চাকুরীচ্যুত হওয়া বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পানি সরবরাহ শাখার কর্মচারী (স্বঘোষিত আলীগ নেতা ) আবদুস সালাম সরদারের বিরুদ্ধে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীর নাম মোঃ সহিদুল ইসলাম। তিনি নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি জানান, ২০১৭ সালে সিটি কর্পোরেশনের অফিস সহকারী পদের জন্য ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নেয় আবদুস সালাম। সেই থেকে এখন পর্যন্ত চাকরী তো দুরের কথা টাকা নিয়েও টালবাহানা করতে থাকেন সদ্য চাকুরীচ্যুত সালাম সরদার।ভুক্তভুগি অভিযোগ করে বলেন, আহসান হাবিব কামাল যখন মেয়র ছিলেন, তখনকার সময় চাকরীর দিবে এমন সর্তে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নেন আবদুস সালাম সরদার। টাকা নেয়ার পর তার রুপ পালটে যায়। আর বিভিন্ন সময় তারিখ পরিবর্তন করতে থাকেন। মেয়র কামালের শেষ কার্যদিবসে হঠাৎ একদিন সালাম জানান, কামাল মিয়া চাপে আছে, এখন আর চাকরী হবে না, তবে সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র হলে তোমার চাকরী হবে টেনসন করো না। সালামের এমন কথার আশ্বাসে আবারও চুপ থাকে ভুক্তভুগি। এরপর মেয়র নির্বাচিত হন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি মেয়র হয়েছেন তাও তিন বছরের বেশি। এভাবে বছরের পর বছর পেড়িয়ে গেলেও চাকরী তো দুরের কথা, টাকা ফেতর চাইতে গেলে নানা ধরনের অযুহাত দেনন বিতর্কিত সালাম সরদার। ভুক্তভুগি আরও জানান, করোনায় আমি প্রচন্ড অসুস্থ ছিলাম, সবিনয় ভাবে অনুরোধ করে টাকাটা ফেরত চেয়েছি তিনি তা আমলে না নিয়ে উল্টা হুমকি ধামকি দিয়ে বলেন টাকা কি আমি নিয়েছি, টাকা নিয়েছে বড় কর্মকর্তারা তাদের কাছে যাও। অথচ টাকা নেওয়ার সময় আমি তো তাদেরকে চিনি না। এমতাবস্থায়, ১৮ সালের মাঝামাঝি সময় জেলা কৃষকলীগের সভাপতি এডভোকেট সাইফুল আলম গিয়াস ও বরিশাল বিভাগীয় বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি লীগের সভাপতি কুদ্দুসুর রহমান মন্টু তারা সালিসির মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আদায় করে দেন। বাকি টাকাও দ্রুত পরিশোধ করতে আবদুস সালাম সরদারকে বলা হলেও তিনি তা এখনও পরিশোধ করেনি। এখন চলছে ২১ সাল তাও শেষ পর্যায়ে। অথচ সালাম সরদার সময় কালক্ষেপন করে চলেছেন। এ ব্যাপারে আবদুস সালাম সরদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ বিষয় জানেন। তাকে তাকে জিজ্ঞাসা করলে পাবেন। ১৪ নম্বর কাউন্সির তৌহিদুর রহমান ছাবিদ সাথে যোগাযোগ করলে তার তিনি জানান, আবদুস সালামের কাছ কোন টাকা পয়সা আমি নেই নি বলে জানান। এছাড়া এ্যাড. সাইফুল আলম গিয়াসের মুঠোফোনে ফোন দিলে তা তিনি রিসিভ করেন নি। উল্লেখ্য’ ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে আব্দুস সালামসহ ১২জন চাকুরীচ্যুত হন, তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনর পানি শাখার অফিস সহকারী পদে ছিলেন। আবদুস সালাম সরদার সদর উপজেলার ৮ নং চাঁনপুরা ইউনিয়ন দুর্গাপুর এলাকার মোঃ আফতাব আলী সরদারের ছেলে। তার দুর্নীতির আরও খবর নিয়ে আসছি পরবর্তী পর্বে।
Leave a Reply