মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রতারণা ও জালিয়াতি করেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে যশোরের প্রতারক মিঠু স্কুল কলেজের আধুনিক শিক্ষার ন্যায় মাদ্রাসা শিক্ষাকেও কর্মমূখী শিক্ষায় রুপান্তর করতে হবে-এম. জহির উদ্দিন স্বপন বিসিসিআই’র রেজিস্ট্রার খাতা ছিনতাইয়ের সময় গণধোলাইর শিকার হলেন শেখ রহিম আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় মন্দির ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করে মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-জহির উদ্দিন স্বপন দেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী ইচ্ছা অনিচ্ছায় পরিবর্তন হতে পারবে না–খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম জহির উদ্দিন স্বপন সরাসরি ভোটে গৌরনদীর টরকী বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন মহিলা দলের ৪৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে বরিশাল মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত করেন এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ছয় বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় হাজারো জনতার ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত সান্টু 
পরকীয়া জের ধরে সন্তানকে দিয়ে স্বামীকে হত্যা

পরকীয়া জের ধরে সন্তানকে দিয়ে স্বামীকে হত্যা

দখিনের খবর ডেস্ক ‍॥ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রাণীরপাড়া গ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাধার স্বপ্নে বিভোর হয়ে রেহেনা খাতুন নামে এক গৃহবধূ তার স্বামী রফিকুল ইসলামকে হত্যা করিয়েছেন নিজ সন্তানকে দিয়ে। হত্যার মিশন সফল করতে কাজে লাগিয়েছেন প্রেমিক ও রেহেনার বোনের ছেলেকেও। প্রায় এক বছর আগে সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েও প্রেমিকের সঙ্গে তার ঘর করা হয়নি। তার স্থান হয়েছে কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে একটি জিডির সূত্র ধরে।

পুলিশ দেরিতে হলেও রেহেনা খাতুনের ওই নৃশংসতার কথা জানতে পেরে শুক্রবার দুপুর ১১টায় তাদের গ্রামের পাশের জমিতে পুঁতে রাখা তার স্বামী রফিকুল ইসলামের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত রেহেনা খাতুন (৩৭), তার প্রেমিক একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪৭), ছেলে জসিম (১৮) ও রেহেনার বোনের ছেলে তেকানিচুকাইনগর গ্রামের করিম আকন্দের ছেলে শাকিলকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোনাতলা স্টেশন থেকে প্রায় ৪ কিলোামিটার দক্ষিণে রাণীরপাড়া গ্রামের পাশে রেহেনা খাতুনের প্রেমিক মহিদুলের বর্গা নেয়া জমিতে রফিকুল ইসলামের লাশ পুঁতে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে মহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সকাল ১১টায় রেললাইনের পাশে জমিতে ঘননকাজ শুরু করা হয়।

বগুড়ার মানবিক পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাসহ (বিপিএম-বার) উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে খোঁড়া-খুড়ির পর দুপুর ১টায় রফিকুলের অর্ধগলিত লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় রাণীরপাড়াসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের গ্রামে হাজার হাজার উৎসুক জনতা রফিকুলের লাশ দেখার জন্য সেখানে জড়ো হয়।

লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ-সোনাতলা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার কুদরত-ই খুদা শুভ এ প্রতিবেদক-কে বলেন, সোনাতলা পাকুল্লা গ্রামের আজাদ আলীর মেয়ে রেহেনা খাতুনের (৩৭) সঙ্গে অনেক আগে রাণীরপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে মরিচ চাষি রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে পাঁচ ছেলে-মেয়ে রয়েছে। কয়েক বছর আগে একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মহিদুল ইসলামের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা দু’জন ঘর বাঁধা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে পথের কাঁটা রফিকুল ইসলামকে তারা পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।

তিনি বলেন, যেহেতু প্রেমিক মহিদুল ইসলামের একার পক্ষে স্বামী রফিকুল ইসলামকে হত্যা করা সম্ভব নয় সেজন্য লোকবল বাড়ানোর জন্য রেহেনা খাতুন তার তৃতীয় সন্তান জসিম এবং বোনের ছেলে শাকিলকেও সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। জসিম যেহেতু একটু সরল প্রকৃতির এবং ঠিকমত পড়ালেখা না করার কারণে ঘন ঘন বকুনি খেয়ে বাবার ওপর একটু বিরক্ত, তাই নিজের জন্মদাতাকে মারার কাজে তাকে ব্যবহারের সুযোগটি নেয় রেহেনা খাতুন।

‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৪ জুন রাতে রফিকুল যখন খেতে বসে তখন বেগুন ভর্তার মধ্যে মহিদুলের এনে দেয়া ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন রেহেনা খাতুন। এরপর তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলে মহিদুল ও জসিম মিলে রফিকুলের বুকের ওপর উঠে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে শাকিলকে ডেকে এনে তারা তিনজন মিলে রফিকুলের লাশটি মরিচের বস্তায় ভরে মহিদুলের বর্গা নেয়া জমিতে পুঁতে রেখে চলে আসে।’

তিনি আরও বলেন, রফিকুল ইসলাম খুন হওয়ার প্রায় ১৫ দিন পর ২০১৯ সালের ১ জুলাই তার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম সোনাতলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, গত ১৪ জুন থেকে তাকে পাওয় যাচ্ছে না। কিন্তু পুলিশ জিডির সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কয়েকদিন আগে মহিদুলের সঙ্গে রেহেনা খাতুনের পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে। শুক্রবার সকালে মহিদুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এক বছর আগে রফিকুল ইসলামকে খুন করার কথা স্বীকার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রেহেনা তার ছেলে জসিম ও রেহেনার বোনের ছেলে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, মায়ের প্ররোচনায় বাবাকে হত্যা করায় ছেলে জসিম কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়েছে। জসিমের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নিজ হাতে বাবাকে হত্যা করার পর সে মানসিকভাবে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েছে। যে কারণে তার আর পরীক্ষায় দেয়া হয়নি। জিডি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। বড় ভাই শফিকুল ইসলামকে বাদী করে মামলাটি দায়ের করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com