নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলা বন্দর থানাধীন চরকাউয়া ইউনিয়নের ৫ নং এবং ৬ নং ওয়ার্ডে গত ছয় মাস যাবৎ, ঘড় ও গরু মহিষ চুরির ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টা থেকে তিনটার মধ্যে ৫ টি গরু চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। ভূক্তভোগী কোব্বাদ কাজী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমি গরুর গোয়াল ঘরে গরু শিকল দিয়ে তালা আটকিয়ে রাখি এবং রাত ১টার সময়ও গরু দেখছি গোয়াল ঘরে। ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখি আমার ২টি গরু নেই।অনেক খোঁজাখুজির পরও কোন সন্ধান পাইনি। তার দূটি গরু একটি লাল রংয়ের গাভী বাছুর যার বাজারমূল্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আরেকটি গরু কালো রংয়ের গাভী যার বাজারমূল্য ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
একই বাড়ির মোঃ ফারুক কাজীর তিনটি গরু চুরি হয়েছে। ফারুক কাজী বলেন, আমি গরুর গোয়াল ঘরে গরু শিকল দিয়ে তালা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ফজরের সময় শুনতে পাই কোব্বাদ কাজীর গরু চুরি হয়েছে। তখন দেখি আমার গরু তিনটিও নেই। তারপর অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান পাইনি। ফারুক কাজী আরো জানান, আমার লাল রংয়ের গাভী গরু ২ টি এবং ষাড় গরু একটি, লাল রংয়ের গাভী গরু দুটির বাজার দর প্রায় ৯০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা এবং কালো রংয়ের ষাঁড়গরুর দাম ৪০-৫০ হাজার টাকা। চলতি মাসের গত ২ জুন চরআইচা থেকে মোঃ শহীদ গাজীর ২টি গরু এবং তাঁরা বানুর একটি গরু একই রাতে তিনটি গরু চুরি হয়েছে এবং এরই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ৫ টি গরু চুরির হয়েছে। ভুক্তভোগীরা আরও জানান আমাদের, গরু, মহিষ, ও ঘরের নগদ টাকা এবং স্বর্নালংকার সহ সর্বমোট প্রায়ই ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, বর্তমানে তারা আতংকের মধ্যে জীবনযাপন করছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে ঘড় চুরির ঘটনা। এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এরআগেও গরু চুরি অভিযোগ পেয়েছি। খুব দ্রুত আইননুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply