রাজাপুর প্রতিবেদক ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে ঝালকাঠির রাজাপুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে তিনি উপজেলা পরিষদে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সরাসরি সম্পৃক্ত নির্ধারিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, গনমাধ্যম কর্মী ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সভা করেছেন।কোভিড বা নন কোভিড রোগী কোন মুখ্য বিষয় নয়, চিকিৎসা সেবাই মূল লক্ষ্য বলে জানান জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান। সভায় উপজেলায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা মাস্কসহ করোনায় সচেতন থেকেই সকল কাজ করার আহ্ববান জানিয়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে দেশে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সভায় আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়। প্রশাসনের সমন্বয়ে অভিযানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় তিনি উপজেলাটির করোনা পরিস্থিতির সার্বিক খোজখবর নেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী। রাজাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদারের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ মনিরউজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া হায়দার খান লিটন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবুল খায়ের মাহামুদ রাসেল, রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক কামালসহ উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান সভায় বলেন, করোনাকে সাথে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। সব কাজ করতে হবে। তবে আমাদের এ বিষয়ে সচেতন হয়েই সকল কাজ করতে হবে। সামনে কোরবানির ঈদ এ ঈদে মানুষ গ্রামে আসবে সে কারনে মানুষের ঢলে করোনা সংক্রমন আরো বাড়তে পারে। যদি কেউ আসে তাকে অবশ্যই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হবে। আল্লাহর রহমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এক্ষেত্রে জাতীয় সংসদের স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন সাহেবের তৎপরতায় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, স্বাস্থ্যকর্মী স্বাস্থ্য বিধি কর্মসূচী কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করছে। সারাদেশে সংক্রমনের সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে সেখানে এ উপজেলায় নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং ইতিমধ্যেই অনেকে সুস্থ হয়ে গেছে। করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়সহ মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব। সভায় সচিব করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতা অবলম্বনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। আসন্ন কোরবানী পশুর হাটে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশসনকে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।সভায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ পর্যন্ত গৃহীত ব্যবস্থা, চিকিৎসাসামগ্রী সংগ্রহ পরিকল্পনা এবং আগামী দিনেও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ পর্যালোচনা করেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
Leave a Reply