মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
বরিশালে লুডু খেলা এখন ডিজিটাল জুয়া!

বরিশালে লুডু খেলা এখন ডিজিটাল জুয়া!

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগর থেকে শুরু করে বিভাগ জুড়ে লুডু খেলা এখন জুয়ায় পরিণত হয়েছে। এক সময়ে যে লুডু বোর্ড ছিল কাগজে তৈরি, এখন তা মোবাইলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ মোবাইলের মাধ্যমেই চলছে নগরীর অলি-গলিসহ বিভিন্ন প্রান্তে এ ডিজিটাল জুয়া চলছে দিন-রাত। স্মার্টফোনে লুডু কিং নামে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে সর্বোচ্চ আটজন মিলে এ খেলা খেলতে পারে। খেলার ধরন রয়েছে দুই প্রকার। একটি অনলাইনের মাধ্যমে অপরটি একটি মোবাইলে একইসঙ্গে বসে খেলা যায়। তবে অনলাইন ছাড়া একসঙ্গে চারজনের খেলার প্রবনতা বেশি দেখা গেছে। চারজন মিলে খেললে এক একটি গেইম শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট। প্রতি গেমে বাজি ধরা হয় ১০০-৫০০ টাকা। কোন কোন ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ আরো বেশিও হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, তিনি পেশায় একজন মোটরসাইকেল চালক ছিলেন। এক সময় নিয়মিত মোবাইল ফোনে লুডু কিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে জুয়া খেলতেন। খেলতে খেলতে এমন নেশা হয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত আয়ের উৎস মোটরসাইকেলটিও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। এখন তিনি বেকার। তিনি আরও জানান, বরিশাল নগরীর বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, বস্তি এলাকায় গেলেলেই দেখা যায় এ জুয়ার আসর জমজমাট। এসব জায়গায় যারা লুডুর মাধ্যমে জুয়া খেলে তারা একটি মোবাইলের মাধ্যমে একসঙ্গে বসে। বেশি ভাগই হলো তরুন এবং যুবকরা।
পলাশপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দারা বলেন, আমাদের যুবকরা এখন ধংশের পথে। কারন মোবাইল ফোনে এখন কথা হয় না। চলে জুয়া খেলার আড্ডা। আমাদের সন্তানরা লেখা পড়া বাদ দিয়ে বসে মোবাইলে জুয়ার আড্ডায়। বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘এসব জুয়ারিরা যখন সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে, তখন তারা সামাজিক নানা প্রকার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
তাই এ ধরনের জুয়া বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার প্রসাশনের।’ বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তবে খুব শিঘ্রই একটি অভিযান চালানো হবে এদের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের এক কর্মকতা বলেন, ‘এ ধরনের জুয়া খেলায় হাতে-নাতে কাউকে ধরতে পারলে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে পারিবারিকভাবে সচেতনতা বাড়াতে হবে অভিবাভকদের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com