সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
স্বামী তাবলিগে, ভোলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেল ধর্ষক!

স্বামী তাবলিগে, ভোলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেল ধর্ষক!

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করার পর ধর্ষক ভোলা থেকে পালিয়ে গেছে চট্টগ্রামে। পরে চট্টগ্রাম থেকে ভোলা ফিরে ধর্ষিতা ও তার পরিবার আইনের আশ্রয় নিলে তাদের হত্যা করবে বলে হুমকি দেওয়ার পর স্থানীয়ভাবে অনুমান করা হচ্ছে ওই ধর্ষক আবার চট্টগ্রামে চলে গেছে। ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামে ঘটা সেই ধর্ষণের ঘটনার শিকার গৃহবধূ বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি বাড়ির রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। তখন ঘরে কেউ ছিল না। তার স্বামী তখন তাবলিগ জামায়াতে ছিলেন। অন্যদিকে শাশুড়ি রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদে যান বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে। এ সুযোগে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পার্শ্ববর্তী ফকির বাড়ির ইসমাইল ফকিরের ছেলে আলম ফকির তার রান্না ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে জড়িয়ে ধরেন। ওই গৃহবধূ এ সময় চিৎকার দিলে রান্নাঘরে থাকা পরিত্যক্ত একটি কাপড় দিযে তার মুখ ও হাত-পা বেঁধে ঘরের চৌকির ওপর নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই গৃহবধূ জানান, ধর্ষণ করা শেষে তার হাতে ১০০ টাকার একটি নোট দিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলেন ধর্ষক আলম ফকির। গৃহবধূ টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালে অন্য সময় আবার আসলে ৫০০ টাকা দেবেন— এই আশ্বাস দিয়ে ওই ১০০ টাকাও নিয়ে যান অভিযুক্ত আলম ফকির।
এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে শাশুড়ি বাড়িতে ফিরলে বিষয়টি গৃহবধূ তাকে জানান। এরপর সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গৃহবধূর স্বামী তাবলিগ জামায়াত থেকে বাড়ি ফেরার পর ঘটনা জানতে পেরে ধর্ষক আলম ফকিরের বাড়িতে যান। কিন্তু আলম ফকিরের স্ত্রী জানান, আলম চট্টগ্রাম চলে গেছেন। চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে ফিরলে এর একটা সমাধান করে দেবেন বলে স্ত্রী আশ্বস্ত করে ধর্ষিতার স্বামীকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে লোকলজ্জায় ধর্ষিতার স্বামী আবারও ধর্ষকের বাড়ি যান। কিন্তু সেখানে ধর্ষকের ভাই হারুন ফকির ও ধর্ষকের স্ত্রী গালিগালাজ করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এর তিনদিন পর ধর্ষক আলম ফকির চট্টগ্রাম থেকে ভোলায় ফিরে প্রকাশ্যে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেন। ধর্ষিতার স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রী কানে কম শোনে এবং সে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তেমন একটা কথা বলতে পারে না সে। ধর্ষকের হুমকিতে আমি আতঙ্কে আছি। যেকোনো সময় ধর্ষক আমাকে অনেক বড় বিপদে ফেলতে পারে।’ ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি এখন পর্যন্ত অবগত নন। তবে মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com