লুৎফুল হাসান রানা, কলাপাড়া ॥ সারাদেশের মতো সমগ্র দুিক্ষন উপকুলীয় কলাপাড়া-কুয়াকাটাসহ এ অঞ্চলে ১৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা। বিগত কয়েক বছর ধরে মৎস্য বিভাগের সময়পোযোগী এমন সিদ্বান্তে বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন। তবে এ সময়ে প্রকৃত ইলিশ জেলেদের জন্য প্রদেয় প্রনোদনা বাড়ানোর দাবী উপকুলের জেলেদের। মৌসুমের শুরু থেকে কলাপাড়ার উপকূলীয় এলাকার জেলেদের জালে ছিল ইলিশের অকাল। শেষ সময়ে এসে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। ঠিক এসময়েই শুরু হচ্ছে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারের অবরোধ। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের অবরোধ চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। মঙ্গলবার ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হচ্ছে এর কার্যকারিতা। এসময়ে সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করনসহ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীকে এক থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে মৎস্য বিভাগের এমন সিদ্বান্তে খুশী জেলেরা। ২২ দিনের এমন কর্মহীন সময়ে জেলেদের জন্য দেয়া হচ্ছে প্রনোদনা। তবে প্রদেয় এ প্রনোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়েই তা প্রকৃত ইলিশ শিকারীদের মাঝে বিতরনের দাবী মৎস বন্দর মহিপুর-আলীপুরের জেলেদের।
ইলিশ শিকারী জেলে জব্বার সিকদার দু:খ প্রকাশ করে বলেন, অনেক ইলিশ শিকারী জেলে ঠিকমতো সরকারী সহায়তা পাচ্ছেনা। যারা ছোট ছোট জাল নিয়ে নদী বা খালে মাছ শিকার করে তারা অধৈ উপায়ে পাচ্ছেন সহায়তা। আলীপুরের এমবি কুয়াকাটা ট্রলারের মাঝি রশীদ গাজী জানান, আমদের দেশে যখন অবরোধ দেয়া হয়। ভারতীয় এবং মায়ানমারের জেলেরা তখন অবৈধভাবে মাছ শিকার করে। আলোচনা করে যদি একই সময়ে অবরোধ দেয়া হয় তবে আমাদের জন্য ভাল হয়।
কুয়াকাটা-অলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউ পি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মেল্লা বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষন করা গেলে বাড়বে মাছের উৎপাদন। যার সুফল ভোগ করবে জেলেসহ ব্যবসায়ীরা। ফলে বুঝতে পেরে কোন জেলেই এখন আর অবরোধকালীন সময়ে মাছ শিকার করতে যাচ্ছে না। তবে এসময়ে জেলেদের যে সহায়তা দেয়া হয় তা খুবই নগন্য। জেলেদের সহায়তা বাড়ানো উচিত। মহিপুর আল্লা ভরসা মৎস আড়দের সত্বাধীকারী লুনা আকন জানান, জেলেদের সহায়তা বাড়ানো এবং ইলিশ প্রজননের এ সময়-সীমা ২০ অক্টোবরের মধ্যে দেয়া উচিত। তিনি প্রশাসনের কাছে দাবী করেন ভারত ও মায়ানমারের জেলেরা যেনো আমাদের জলসিমানায় ঢুকে মাছ ধরতে না পারেন।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ইমদাদুল্লাহ বলেন, বিগত কয়েক বছরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় সাগরে বেড়েছে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। অবরোধ সফল করতে জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ চলছে ধারাবাহিক গনসংযোগ। সমুদ্রসহ স্থলভাগে সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
Leave a Reply