পটুয়াখালী প্রতিবেদক ॥ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পটুয়াখালীর বাউফলে গতকাল বৃহস্পতিবার মিছিলের আয়োজন করে উপজেলা যুবলীগ। বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ‘জনতা ভবনের’ সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাউফল পৌরসভার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। ওই মিছিলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা গেছে।মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বলেন,এলাকার বড় ভাইদের নির্দেশে তাঁরা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। সারা দেশের সঙ্গে একযোগে গত বুধবার যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার আয়োজন করে বিভিন্ন মহলে দাওয়াত দেওয়া হয় উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে। কিন্তু স্থানীয় সাংসদ পুত্র রায়হান সাকিব ওই দিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এ কারণে একদিন পরে গতকাল পালিত হয়েছে বলে দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে । এ নিয়ে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন,‘সারাদেশে বুধবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। অথচ সাংসদ পুত্রের কারণে আমরা পারিনি। একদিন পরে করা হল। রাজনীতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে!’ প্রধান অতিথি হিসেবে মিছিলের নেতৃত্ব দেন রায়হান সাকিব। স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি গা ঘেঁসে অংশ নিতে দেখা গেছে। মিছিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মুখে মাস্ক ছিল না। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।কারণ গত তিনদিন ধরে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসন বেশ তৎপর। নিয়মিত ভ্যাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এতে অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন। এক পথচারী বলেন,তিনি মাস্ক না পড়ায় তাঁকে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করেছে। অথচ প্রকাশ্যে স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করে মুখে মাস্ক না পড়ে মিছিল করা হল। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাহলে কি সরকারি দলের জন্য আলাদা আইন? একই কথা বলেন এক চা বিক্রেতা। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শাহজাহান সিরাজ বলেন,‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে বলা হয়নি। হয়তো শখের বশবতি হয়ে তারা মিছিলে অংশ নিয়েছে। আর দলীয়ভঅবে সবাইকে মাস্ক পড়ার জন্য নির্দেশনা ছিল। কেউ পড়েছে, আবার কেউ পড়েনি।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সাধারণত ১১ নভেম্বর (বুধবার) করে থাকি। তবে এ বছর ১১ নভেম্বর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই একদিন পড়ে মূল অনুষ্ঠান মিছিল ও আলোসভা করা হয়েছে। তবে কারো জন্য একদিন পরে করা হয়নি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আনিচুর রহমান বলেন,‘বিষয়টি তাঁর জানা নাই। তবে ওই সময় দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন।’
Leave a Reply