বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
কুয়াকাটায় আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত

কুয়াকাটায় আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত

লুৎফুল হাসান রানা, কলাপাড়া ॥ কুয়াকাটায় ফাঁসিপাড়া প্রামে অরস্থিত খাজুরা আশ্রয়ন প্রকল্প ১৯৯৯ সালে নির্মিত হবার পর থেকে অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে। ১০টি ব্যারাকে ৬০টি কক্ষ। ৩৬টি টয়লেটের ৩০টি নষ্ট গত ৪ বছর ধরে। মোটামুটি ভাল থাকা ৬টি টয়লেটে সকালে দোতলা লঞ্চের মতো ভীর পরে। মান সম্মান নিয়ে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে পাচ্ছেন না মা-বোনরা। এখানে বসবাসকারীদের জন্য ৬টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও ৪টি নষ্ট অনেক আগে থেকেই। ২টি ভাল থাকলেও মাঝে মধ্যে বালু ও লবনাক্ত পানি ওঠে। খাবার পানি আনতে হয় অনেক দূর থেকে। গোসল করতে হয় পাশের খালের ময়লাযুক্ত পানিতে। টয়লেট ও পানির সমস্যা তাদের ভোগাচ্ছে বছরের পর বছর। এখানে বসবাসকারীদের আলীপুর বন্দরে যেতে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় খাজুরা আয়রণ সেতুটি। আশ্রয়বাসীরা চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে চলাচল করছে। এদিকে চলাচলের জন্য রাস্তা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে ব্যারাকের এমাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত থাকে হাঁটু সমান কাদা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খাজুরা আশ্রয় প্রকল্প। ১৯৯৯ সালে নির্মিত হয়। ৬০টি পরিবারের ৩’শতাধিক মানুষ বসবাস করছে। বর্তমানে তারা নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পরেছেন। তাদের নানামুখি সমস্যা সমাধানে শুধুমাত্র আশ্বাস ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মাস যায়, ঘুরে আসে বছর। দুঃখ-কষ্ট লাঘব হয় না। নির্মাণের পর থেকে অদ্য পর্যন্ত চলাচলের জন্য একটি রাস্তা পায়নি তারা। অথচ নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির শেষ থাকে না। নির্বাচন শেষ হলে সেই প্রতিশ্রুতি কেউ রাখে না এমন সব অভিযোগ আশ্রয়নবাসীর।
একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিরা শুধু মাত্র দিনের পর দিন আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তা আর হচ্ছে না। আশ্রয়ন প্রকল্পের উঠান আর ঘরের মেঝে সমান সমান। বর্ষা মৌসুমে জোয়ার ও বৃষ্টির পানি ঘরে প্রবেশ করে। তারা বললেন ‘আপনি যদি বর্ষাকালে আসতেন তাহলে দেখতেন আমরা কত দূর্ভোগে আছি। ভুক্তভোগীদের দাবী দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে ধর্ণা দিলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। ফলে আজও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারীদের।
ফাঁসিপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, বর্তমানে টয়লেট ও নলকূপের সমস্যা আমাদের ভোগাচ্ছে। জরুরীভিত্তিতে এগুলো সংস্কার করা দরকার। সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুধীর চন্দ্র দাস বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে ঘরগুলো উচু করে মাঠি ভরাট না দিলে ঘরে থাকা যাবে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন কাজী বলেন, আশ্রয়নবাসী বিভিন্ন সমস্যায় আছে। এ সমস্যা দুর করার জন্য আমি চেষ্টা করছি। লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো: আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, আশ্রয়নবাসীর টয়লেট ও নলকূপের সমস্যা সমাধানের জন্য চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি একটি মডেল আশ্রয়ন প্রকল্প গড়ার। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলেন, নলকূপের সমস্যা অচিরেই দূর হবে। টয়লেট ও ঘর সংস্কারের বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করবো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com