শামীম আহমেদ, পটুয়াখালী ॥ জেলার দুমকি উপজেলার বাশবুনিয়ায় অবস্থিত মেহেরুন্নেছা গার্লস হাই ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক অসহয় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ অতঃপর অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এবং পরবর্তীতে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো এবং মামলা না করার হুমকি, প্রভাবশালীদের ভয়ে বিচার চাইতে পারছেনা ধর্ষিতার পরিবার। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ায় অসহয় পরিবারের কাজ কর্ম নাথাকায় তার পরিবারকে একটু সহযোগিতা করার জন্য ঐ স্কুল ছাত্রী প্রধান শিক্ষক নেছার উদ্দিনের বাসায় কাজ নেয়। কাজ করার সময় ঐ স্কুল ছাত্রীর দিকে কু নজর পরে লম্পট শিক্ষক নেছারের, বিভিন্ন সময় ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় একাধিক বার। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা সপরিবারে মাস্টারের শশুরবাড়ী বেরাতে গেলে ফাকা বাড়ীর সুযোগ নিয়ে নেছার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে, এতে করে মেয়েটি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। পরবর্তীতে লম্পট মাস্টার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হলে এলাকার কথিত দাই আকলিমার সরনাপন্ন হয়ে বাচ্চাটি নস্ট করে দেয় এবং এ বিষয় কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চিন্তা করে কাউকে কিছু না বলে নিরবতা পালন করে কিন্তু, বর্তমানে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় ঐ গৃহপরিচারিকা ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে মাস্টারের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। এ বিষয় বিচার ও অপরাধীর শাস্তির দাবীতে গোরস্থান রোড হোটেল সাউথ কিং সংলগ্ন একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়,সকাল ১১ঃ০০ ঘটিকায় শুরু হয়ে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধনে স্কুল ছাত্র ও এলাকার শত-শত সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে লম্পট স্কুল শিক্ষকের সর্বচ্চো শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান। এ সময় বক্তারা বলেন প্রধান শিক্ষকের এমন অনৈতিক কাজের কারনে এলাকার কোমলমতি ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারছেনা,ব্যহত হচ্ছে লেখা পড়া বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নারী নির্যাতন বিষয় জিরো টলারেন্স ঘোষণার পরেও এ সকল লম্পটের কারনে এলাকার তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে বক্তারা মনে করেন। এ বিষয় ধর্ষক প্রধান শিক্ষক নেছার উদ্দীন এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল আমাকে সমাজে হেওপ্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য প্রপোগন্ডা ছরাচ্ছে,অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এমন অভিযোগ সম্পূর্ন ভিক্তিহীন। এ বিষয় ভুক্তভোগী শিক্ষর্থীর বাবা হতদরিদ্র মো,জাফর হাওলাদার বলেন, আমার অভাব অনটনের সংসারের অভাব পূরনে প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে আমার মেয়েকে তার বাসায় ঝিয়ের কাজে দেই কিন্তু সে আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আমার মেয়ের জীবনটাকে শেষ করে দিলো, এখন আমি কোথায় জাবো কার কাছে বিচার চাইবো। এদিকে এ ঘটনায় আমি মানলা করতেও পারছিনা তার অব্যাহত হুমকির মুখে অসহয় হয়ে নিরবে কেদে যাচ্ছি আর আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, আল্লাহ একদিন না একদিন বিচার করবেন বলে আমি মনে করি। তিনি তার মেয়ের সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান এবং ন্যয় বিচার প্রত্যাশা করেন। এলাকাবাসী এহেন ও ঘৃণিত জঘন্য কাজের সাথে জরিত লম্পট প্রধান শিক্ষক নেছার উদ্দিনের দৃষ্টিান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এ বিষয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) দুমকির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply