রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি ॥ কখনো ঘূর্ণিঝড়, কখনো নদী ভাঙনে ভিটেবাড়ি হারিয়েছেন খাদিজা ও নূরজাহানের পরিবার। এ কারণে চার-পাঁচবার ভিটেবাড়ি বদলে দিশেহারা তারা। সবশেষে বেড়িবাঁধের ওপর দোচালা ছাপরার ছাইনিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। ছেলে সন্তান নিয়ে ঝড়-ঝাপটার মধ্যে সেখানেই মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলেন তারা। খাদিজা ও নূরজাহানের বসবাস পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়ারচর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ওপর। তাদের সেই বসতি এখন ভাঙনের মুখে। তাই বিপাকে পড়েছিলেন ওই দুই পরিবার। অবশেষে তারা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেতে যাচ্ছেন তারা। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘অসহায় দুই পরিবারের মানবেতর জীবন যাপনের তথ্য পেয়ে শুক্রবার দুপুরে আমি সেখানে গিয়েছি। তাদের জন্য দুই শতক (শতাংশ) করে খাস জমি নির্ধারণ করে এসেছি। সেখানে দুই পরিবারের জন্য মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ হবে। শিগগরই নির্মাণকাজ শুরু হবে।’ জানা গেছে, প্রায় ৮ বছর ধরে ওই ইউনিয়নের নয়ারচরে বসবাস খাদিজা বেগম (৪২) ও নূরজাহান বেগমের (৩০)। খাদিজার স্বামী কাশেম বয়াতী পেশায় জেলে। তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ ছয় সদস্যের সংসার। আর নূরজাহানের স্বামী আলাল হোসেন দিনমজুর। তাদের তিন ছেলে, এক মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং নদী ভাঙনে চার-পাঁচ দফায় নতুন করে আবার ভিটেবাড়ি গড়তে হয়েছে তাদের। সব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। কোমতে দোচালা ছাপরার ছাইনি দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস করছেন তারা। সেই সর্বহারা খাদিজা ও নূরজাহানের পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। জমিসহ টেকসই পাকা ঘর পেতে যাচ্ছেন তারা। সেটিই হবে তাদের নতুন ঠিকানা। এ প্রসঙ্গে কথা হয় খাদিজা ও নূরজাহানের সঙ্গে। খাদিজা বেগম বলেন, এতদিন যে কষ্টে আছিলাম, চেয়ারম্যান-মেম্বরগো চোখে পড়ে নাই। স্যার (ইউএনও) আসছে, এতেই আমরা অনেক খুশি। নূরজহান বেগম বলেন, কোনোদিন পাকা ঘরে থাকতে পারমু স্বপ্নেও দেহি (দেখি) নাই।’ তারা আরো বলেন, ‘তাদের মতো অসহায়দের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কতৃজ্ঞতা।
Leave a Reply