মনপুরা প্রতিবেদক ॥ অতিবৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে মেঘনা নদীতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ।
উপজেলা সদরের হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট ও সোনার চর এলাকা ২ থেকে ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে ডুবে রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়ীবাঁধহীন কলাতলীর চর ও চর নিজামেও ৩-৪ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে করে পূর্ণিমার জো’র তৃতীয় দিনে প্লাবিত এলাকার নি¤œাঞ্চলে বসবাসরত আনুমানিক ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এদিকে অতিবর্ষণ ও পূর্নিমার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা (পাউবো)। পানিবন্দি এলাকা দাসেরহাট, সোনার চর, বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর ও চরনিজামে মুঠোফোনে বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তৃতীয় দিনেও অতিবৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে ২ থেকে ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে রাতে জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় অনেক ঘরের মেঝে পানিতে ডুবে গেছে। দিনে-রাতে দু’বেলা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের প্রভাবে মেঘনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে পূর্ণিমার প্রভাব কেটে গেলে মেঘনায় জোয়ারের পানির স্তর নেমে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
Leave a Reply