কাজী মামুন / পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীতে স্ত্রী পলাশী রানীর অত্যাচারে দিশেহারা দিনমজুর কাঠমিস্ত্রী নারায়ন চন্দ্র বালা। পেশায় কাঠমিস্ত্রী জীবিকার তাগিদে সারাদিন দিনমজুরি করে সংসার অতিবাহিত করছে। প্রায় ১৮ বছর পূর্বে সনাতন ধর্ম মতে দাসপাড়া বাউফল নিবাসী স্বপন চন্দ্র হায়দারের মেয়ে পলাশী রানীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়,দীর্ঘ সংসার জীবনে তাদের ঘরে তিনটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন যথাক্রমে নিশিতা (১৭) নিপা (১১) এবং অহনা (৫) অভাব অনটনে থাকলেও সংসার জীবন কোনমতে চলছিলো।ভাড়া বাসায় থাকলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ ও নিজের আয়ের কিছু টাকা জমিয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের নন্দকানাই এলাকায় একটুকরো জমি ক্রয়করে টিনদিয়ে কোনমতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে। ইতিমধ্যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে কিছু ইট ক্রয় করে একটু ভালো ভাবে ঘর তুলে বসবাস করার কিন্তু, এককালীন এতগুলো টাকা কোথায় পাবে।নারায়ন স্ত্রী পলাশীর সাথে যুক্তিকরে ঠিককরে দৈনিক কিছু কিছু করে টাকা জমিয়ে রেখে বড় মেয়ে নিশিতার বিয়ে দিবেন এবং একটি ঘড় তুলবেন,যেহেতু নারায়ন ইতিমধ্যে কাঠমিস্ত্রী থেকে সাব ঠিকাদার হয়েছে আগের থেকে কামাই বানিজ্য একটু ভালো। উভয় যুক্তি করার পরে টাকা জমানো শুরু কিন্তু টাকা কোথায় রাখবে, স্ত্রী পলাশী বল্লো টাকা আমার নামে ব্যাংকে রাখবো যেই কথা সেই কাজ, নারায়ন নিজের কাজের টাকা এনজিও থেকে ঋণ করে টাকা তুলে স্ত্রী পলাশীর কাছে জমা রাখা শুরু করলো। মাঝেমধ্যে জানতে চাইলে নারায়নকে একটি বইতে জমার হিসেব দেখায় যা পরে নারায়ন জানতে পারে সেগুলো ভূয়া।গত মার্চ ২০১৯ সালে নারায়ন ঘড় তৈরি করার জন্য টাকাগুলো তার স্ত্রী পলাশী রানীর কাছে চাইলে পলাশী নাটকীয়তা শুরু করেন, দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ শুরু করে, এক পর্যায় টাকা দেয়ার জন্য নারায়ন তার স্ত্রী পলাশীকে চাপ প্রয়োগ করলে গত ২১শে মার্চ ২০১৯ পলাশী তার মেয়েদের সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নারায়ণ স্ত্রী পলাশীর নিখোজ থাকায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে যার নং ৬৪ তাং ০২/০৪/২০১৯ ইং।বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি অব্যাহত থাকলেও তাকে নাপাওয়ায় হতাস হয় নারায়ণ। অতিসম্প্রতি নারায়ণকে বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে ফোনকরে পলাশী আরও তিন লক্ষ্য টাকা দাবী করেন এবং নাদিলে তাকে মিথ্যা যৌতুক মামলা সহ বিভিন্ন মামলায় ফাসিয়ে হয়রানি করার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় দিশেহারা নারায়ন জদিও নারায়ণ বলছে যে, আমার প্রায় আট লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী পলাশী তার সন্ধান পেয়ে প্রথমে মহা খুশী হলেও পরে তার চাহিদার কথা শুনে মাথায় হাত উঠে যায়। কারন তার সেই জমানো সবটাগুলো নাকি পলাশী খরচ করে ফেলেছে বর্তমানে তিনি আরও তিন লক্ষ্য টাকা দাবী করেন যা কোন ভাবে নগরায়নের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয় কারন বিগত দিনে পলাশীর নিখোজের জন্য তাকে খোজতেগিয়ে অনেকটা সময় পার হয়েছে নিজের কাজকর্ম তেমন করতে পারেনি তাছারা পলাশী পালিয়ে জাওয়ার সময় ও এনজিও থেকে প্রায় এক লক্ষ্য চল্লিশ হাজার টাকা ঋণ করে নিয়ে যায়, সেগুলোর কিস্তি পরিশোধ করতে হয়েছে নারায়কে।দিশেহারা নারায়ন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। এ ঘটনার বর্ননা দেয়ার সময় নারায়ণের চোখে মুখে হতাসার ছাপ দেখা যায় এবং কান্না জরিত কন্ঠে তিনি বলেন দেশে মেয়েদের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার আইন নাথাকায় আমি এর বিচার কারকাছে চাইবো। পলাশী বর্তমানে তার বাবার বাড়ী দাসপাড়া বাউফলে তার ভাই সজীব হাওলাদারের ঘড়ে অবস্থান করছে।এ বিষয় পলাশীর ভাই সজীব হাওলাদার এর সাথে যোগাযোগ করাহলে তিনি বলেন আমার বোনকে নিতে হলে তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা পরিশোধ সহ প্রয়োজনীয় বন্ড স্বই দিয়ে নিতে হবে অন্যথায় তারা মিথ্যা যৌতুক মামলা দিবে।এ দিকে নারায়নের স্ত্রী পলাশী যে টাকা নিয়েছে এটা নিশ্চিত করেছে নারায়নের শ্যালকের স্ত্রী শীলা। এ ঘটনায় হতাস নারায়ণ কি করবে বেচারা, নারায়ণ তার স্ত্রী পলাশীর কাছ থেকে তার টাকা উদ্ধার পূর্বক তাকে ফেরত পাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply