চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের দুলারহাটে মিরাজ(২২)হত্যার বিচার ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। গতকাল বুধবার দুপুরে চরফ্যাসন প্রেসক্লাব এর সমানে এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
এসময় নিহত মিরাজের মা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জালাল আহম্মেদের কন্যা নুরনাহার বেগম বলেন, আমি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার ছেলে মিরাজ (২২) কে গত ১৭মে/ ২০ তারিখে বিকল ৫টার সময় চরযমুনা ৬নং ওয়ার্ড ঘোষেরহাট বাজারের পূর্ব পার্শ্বে খেলার মাঠে একই এলাকার সাবেক ইউপির চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখনের ভাই খায়রুজ্জামান টুটুল,পাশবর্তী এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে মো.ইমরান, মোস্তফার ছেলে শাহরিয়ার ইমনসহ আরও ৮/১০ মিলে ফুটবল খেলার কথা বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই খেলার মাঠে এলোপাতারিভাবে মারধর করে গুরুত্বরে জখম করে। গত ৬জুন সকালে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎস্যা অবস্থায় সে মারা যায়। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় মামলা হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩। মামলার করার দীর্ঘ একমাস অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এখ পর্যন্ত কোন আসামীকেই গ্রেপ্তার করতে পারছে না। আসামীরা প্রকাশ্য দিবালোকে দুলারহাট থানার আশপাশসহ এলাকায় চলাফেরা করছে।
মানব বন্ধনে বক্তব্যে নুরনাহার বেগম আরও জানান, তাদের সাথে চর যমুনা মৌজার ৮৮৬/৮৭/এবং ৮৮ দাগের ২০ শতাংশ জমিতে নিয়ে ওই আসামীদের সাথে বিরোধ চলছিল।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসাবে বসবাসরত ওই জমি আমরা বন্ধবস্তের আবেদন করলে বহুবার ওই জমি বন্ধবস্তের আদেশ হইলেও স্থানীয় প্রভাবশালী সুলতান মাস্টারের ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন ও ফারুক জমি বন্ধবস্তের দায়িত্বরত অফিস কর্মচারিদেরকে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে ওই জমি থেকে আমাদেরকে উৎখাতের পায়তারা করে আসছিল। এবং বিভিন্ন সময় আমাদের মারপিট করে আমাদের রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করেছে। আমার ছেলে জমি রক্ষা করতে দৌড়যাপ দেয়া তারা আমার ছেলে দিনের দুপুর পিঠিয়ে মেরে জমি দখল করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়গুলো নিয়েও আমাদের তাদের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আর এ জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের নির্দেশনায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। আমার ছেলে মিরাজ হত্যার আসামীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এই সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপোটি কাউন্সিলর এনমুল হকমাষ্টারসহ সকল মুক্তিযোদ্ধারা মানবন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
Leave a Reply