ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলায় হাত-পা বেঁধে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোঃ মুনসুরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ওই মুয়াজ্জিন সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের ছেলে। নির্মম ওই নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিওটি শুক্রবার (৭ আগস্ট) মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই স্থানীয় ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন শীলের নেতৃত্বে এএসআই মাইনুলসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনার মূলহোতা রশিদ মল্লিককে আটক করে। এরআগে সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গুপ্ত মুন্সি গ্রামে ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মুয়াজ্জিন মুনসুর জানান, ‘আমার জমির চারা আমি উঠিয়েছি এজন্য ঈদের ৪ থেকে ৫ দিন আগে আমার দুলাভাই রশিদ মল্লিক, সাইবালী মল্লিকের ছেলে আসাদ মল্লিক ঘর থেকে ধরে নিয়ে আমাকে বেঁধে মারধর করে। এ সময় আসাদ মল্লিকসহ ৩/৪ জনে মিলে আমাকে গরুর গোবর খাইয়ে দিয়েছে। আমি তাদের ভয়ে মামলা করিনি। এখন মামলা করলে আমাকে মেরে ফেলতে পারে, আমার ভয় হয়’। ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন শীল জানান, ফেসবুকে ওই বর্বরোচিত নির্যাতনের দৃশ্য দেখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে রশিদ মল্লিককে আটক করেছি। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply