চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নীলকমল ইউনিয়ন তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদকের মোটরসাইকেলকে সাইড না দেয়া নিয়ে বিতর্কে কলেজ ছাত্র ইমরানকে মারধরের ঘটনার সালিশ বৈঠকে রোববার সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুলারহাট থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনেন। স্থানীয় ও থানা পুলিশের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের কলেজ ছাত্র এমরান মোটরসাইকেল নিয়ে কাশেম মিয়ার বাজারে যাওয়ার সময় নীলকমল ইউনিয়ন তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক রিয়াজের মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে দেড়ি করায় গত শুক্রবার কলেজ ছাত্র ইমরানকে মারধর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে দুলারহাট বাজারে আসার পথে তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক রিয়াজ ও তারদলবল ইমরানকে দ্বিতীয় বার মারধর করে। দুইদফা মারধরের পর রোববার বিকেলে দু’পক্ষের লোকজন নীলকমল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে সালিশ বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের ভাই কামরুল হাওলাদার, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি কালাম মাঝিসহ রিয়াজের লোকজন সালিশ বৈঠকের মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কলেজ ছাত্র ইমরানের ৫ হাজার টাকা জড়িমনা ধার্য্য করেন। মাতাব্বরদের রায়ের ধার্য্যকৃত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক রিয়াজ সালিশদের উপস্থিতে এমরানের ওপর হামলা করে। এ নিয়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ইমরান, রিয়াজ, খাদিজা, মনির, সাহিন, দুলাল, লোকমান, সালাউদ্দিন, খোকন, জুয়েল, নাজিম, বেল্লাল, শামীম, সাকিল, মিঠুন, আল আমীন ও আরিফ আহত হন। আহতরা চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সালিশ কামাল মাঝি জানান, কলেজ ছাত্র ইমরান ও তাঁতীলীগ সাধারন সম্পাদক রিয়াজ এর বিরোধ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়েছিলো । ওই সালিশ বৈঠকেই দু’পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। দুলারহাট থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এখন পর্যান্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply