করোনায় ২৯লাখ টাকা আত্মসাৎ
দখিনের খবর ডেস্ক ॥ চরফ্যাশন সদর রেঞ্জার আলাউদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। করোনা ভাইরাসের মধ্যে সরকারি মোট বরাদ্দের মধ্যে ২৮লাখ ৮হাজার ৫শ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে একাধিক সূত্রের অভিযোগ। অফিস চলছে তার মনমত। সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দূর্নীতি করেই যাচ্ছেন । সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারী-জুনু/২০ করোনা ভাইরাসের মধ্যে রেঞ্জার মো.আলাদ্দীনের কড়াল থাবায় উপজেলার বীট গুলোর সুফল ও চরবনায়ন দু‘টি প্রকল্পের কাজ চলমান ছিল। দক্ষিণ আইচার চরমানিকা বীটের বাগান আগাছা পরিস্কার পরিছন্ন করার জন্যে ১২শ লেবার(দিন মজুর) দৈনিক ৫শ টাকা করে মোট ৬লাখ, বাগান পাহাড়াদার নিয়োগের ২৫জনের ৫হাজার ৫৫০টাকা করে ১লাখ ৩৮হাজার ৭৫০টাকা। শশীভূষণ থানার বাশিরদোন বীটের ১১শ ৫০জন বোর বাবদ ৫লাখ ৭৫হাজার টাকা এবং পাহাড়াদার ৩০জনের ১লাখ ৬৬হাজার ৫শ টাকা। চরফ্যাশন ও বেতুয়া বীটের লেবার ১হাজার ২৬জনের ৫লাখ ১৩হাজার টাকা। বাগান পাহাড়াদার ৪০ জনের নিয়োগে ২লাখ ২২হাজার টাকা। এই সকল পাহাড়াদার ও লেবার দিয়ে কাজ না করে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের জন্যে বিল ভাউচার রেঞ্জার নিজে তৈরী কওে বিল উত্তোলন করেন। এতে বীট কর্মকর্তাদেও কোন স্বাক্ষর নেয়া হয়না বলে জানা গেছে। সরকারি নিয়ম রয়েছে স্ব-স্ব বীট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে লেবার ও বন পাহাড়ারদার নিয়োগ করে কাজ করা এবং উপজেলা রেঞ্জার ওই সকল কাজ তদারকী করবেন। এই বিষয় তোয়াক্কা না করে করোনার ভাইরাসে অযুহত দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের বিভিন্ন খাতের ২৮লাখ ৮হাজার ৫শ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। চরফ্যাশন উপজেলা সদর রেঞ্জ অফিস ১লাখ ৭০হাজার বৃক্ষ(চারা) বরাদ্দ থাকলেও উক্ত রেঞ্জার আলাউদ্দিন ১লাখ চারা উত্তোলন করে ৭০হাজার চারা উত্তোলনের ৬ টাকা করে ৪লাখ ২০হাজার টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন। অফিসের সংরক্ষিত বন্যা ও ঝড় তোফানে পড়ে যাওয়া গাছ ও বিদ্যুতের লাইন টানা ৫শ কেভি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। ওই গাছ বিক্রি করলে প্রায় ২লাখ ৫০হাজার টাকা সরকার পাবে। কিন্তু গাছ গুলো গোপনে বিক্রি করে তিনি টাকা পকেটস্থ করার পায়তারা চালাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে দক্ষিণাঞ্চলের জণৈক বীট কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম রয়েছে স্ব-স্ব বীট অফিসে চারা উৎপাদন করা। এতে ওই এলাকায় বাগান করতে যাতায়াত খরচ কমে যায়। দেখা যায় উপজেলা সদর রেঞ্জার এই সকল চারা নিজেই রোপন করেন। এতে মৌসুমে দূর-দূরান্তে যাতায়াতে ট্রাকের ৭০-৮০ কিলোমিটর পথে যাতায়াতা ভাড়া বেশী পড়ে। গাছের চারা নিলে অনেক টাকা খরচ বৃদ্ধি পায় ফলে কাংক্ষিত পরিমান বাগান করার সম্ভাব হয়না।
এদিকে চরফ্যাশন রেঞ্জের নিয়ন্ত্রাধীন বিভিন্ন বীটের স্ব-স্ব বীট কর্মকর্তা ও বীট স্টাফদের মধ্যে রেঞ্জার আলাউদ্দীনের একতরফা কর্মকান্ডে অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করেছে। কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। প্রতিবাদ করলে বদলী ও ব্যবস্থা নেয়ার ভয় দেখান। ইতিপূর্বে কাজের হিসাব চাওয়ায় বীট কর্মকর্তা মাসুদ রায়হানকে বাশিরদোন বীট থেকে মনপুরার হাজিরহাট রেঞ্জে বদলী করেন। সরকারি বনায়ন কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হচ্ছেনা। ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি গাছ কাটলে ৩টি গাছ লাগাতে হবে এই ঘোষণা বাস্তবায়নে ব্যহত হওয়ার আশংখা রয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা রেঞ্জার আলাউদ্দীনকে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে ভোলা জেলা ডিএফও তৌফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বিধিমোতাবেক কাজ হওয়ার কথা। আমরা কোন অভিযোগ পায়নি পেলে তদন্ত করে দেখব।
Leave a Reply