চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ দৈনিক জনকন্ঠের চরফ্যাসন নিজস্ব সংবাদদাতা ও স্থানীয় দৈনিক সময়ের চিত্র’র সম্পাদক এ আর এম মামুনের ওপর হামলার ঘটনায় চরফ্যাসন থানায় দায়েরকৃত এজাহারটি মামলা হিসেবে না নেয়ায় এবং অভিযুক্তদের আটক না করায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে সাংবাদিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এঘটনায় তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম হোসেন সেন্টু, জাকির হোসেন এবং মাহাবুবকে গ্রেফাতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চরফ্যাসন প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন, চরফ্যাসন উপজেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে না নিলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে পরবর্তীতে এঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচী গ্রহনে বাধ্য হবে।
আহত সাংবাদিক মামুন জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ মঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘূর্ণীঝড় আম্পানে বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও ওই বিদ্যালয়ে বরাদ্ধ নেয়া হয়। বরাদ্ধকৃত ওই টাকা ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সেন্টু আত্মসাত করেন। এবং বাবুর হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত শুক্রবার রাতে চরফ্যাসন সদরের কালী বাড়ি রোডে তার ওপর এ হামলা করেন অভিযুক্তরা। ঘটনার পরদিন শনিবার তিনি বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় এজাহার দাখিল করেন। তিন দিন অতিবাহিত হলেও চরফ্যাসন থানার ওসি তার দায়েরকৃত এজাহারটি আমলে না নিয়ে ওই শিক্ষকদের মিথ্যা একটি অভিযোগ গ্রহন করেন। চরফ্যাসন থানার ওসি মো.মনির হোসেন মিয়া সাংবাদিক মামুনের দায়েরকৃত অভিযোগটি মামলা হিসেবে না নেওয়া এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পরেন নি। তিনি এব্যাপারে সাংবাদিকদের জেলা পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
Leave a Reply