শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ভোলার নাসিমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ

ভোলার নাসিমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রতারণার পর প্রতারণার কারণে ‘রয়েল চিটার’ হিসেবে সমাধিক পরিচিতি ‘নাসিম রিয়েল এস্টেট’র মালিক ইমাম হোসেন নাসিমকে (৬৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। গত বুধবার রাতে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকায় নাসিমের বাসা ও চিড়িয়াখানা রোডে নাসিম রিয়েল এস্টেটের অফিসে অভিযান চালিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে গোপন সুড়ঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্বলিত দরজাযুক্ত অফিস থেকে তার অপকর্মের সহযোগী তৃতীয় স্ত্রী হালিমা আক্তার সালমাসহ (৩২) প্রতারক নাসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ মি.মি. বোরের বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, এক লাখ ৩৫ হাজার জাল টাকা, ১৪শ পিস ইয়াবা, ২ বোতল বিদেশি মদ, ৪টি ওয়াকিটকি সেট, ৬টি পাসপোর্ট, ৩৭টি ব্যাংক চেক ও ৩২টি সিমকার্ড। বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
বরিশালের ভোলা জেলার সন্তান আসামি নাসিম ২০০২ সাল থেকে অন্যের খাস জমি দখল করে আবাসিক শহর গড়ে দেওয়ার নামে প্রায় ৫ হাজার মানুষের সাথে বায়না করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ লাখ করে টাকা নেন। ঘটনাবলীতে তার বিরুদ্ধে ৫৫ টি মামলা রয়েছে। অধিকাংশ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে। পলাতক এভাবে ২৫০ মানুষকে ভুয়া চুক্তিপত্র করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১২ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেন। সব মিলে নাসিম প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, বলছে র‌্যাব।
শুধু খাস ও দখল করা জমিই নয়, পানির নিচের জমিও স্বল্পমূল্যে বিক্রির জন্য সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্রতারণামূলক প্রচার করে আসছিলেন নাসিম। এছাড়া নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে ভিন্ন ভিন্নভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন নাসিম ও তার সহযোগীরা। র‌্যাবের অধিনায়ক জানান, প্রতারক নাসিমের গ্রামের বাড়ি বরিশালের ভোলা জেলায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তার বাবা বেলায়েত হোসেন গ্রাম্য ডাক্তার ছিলেন। পরে তাকে নিয়ে তার বাবা রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় চলে আসেন। এরপর নাসিম মিরপুর এলাকায় পড়ালেখা করেন। তিনি নিজেকে গ্রাজুয়েট দাবি করেন। নাসিম ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ঠিকাদারির কাজ করে এলেও ২০০২ সাল থেকে অভিনব প্রতারণামূলক কৌশলের মাধ্যমে নিজেকে কথিত নাসিম রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক পরিচয় দিতে থাকেন। এই পরিচয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে, ক্ষেত্রবিশেষে অস্ত্র প্রদর্শনপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে সাভারের কাউন্দিয়া এলাকায় অন্যের জমি, খাসজমি দখল করে আবাসিক শহর গড়ে দেওয়ার নামে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের সাথে বায়না করে প্রত্যেকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা এবং ২৫০ জনের সঙ্গে ভুয়া চুক্তিপত্র করে প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে ১২ লাখ থেকে ২০ লাখ করে টাকা হাতিয়ে নেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, বিভিন্ন সময় নামে-বেনামে ৩২টি সিমকার্ড ব্যবহার করে প্রতারণা করতেন নাসিম এবং কাজ সেরে প্রতারণার শিকার মানুষদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতেন। কখনো কখনো অস্ত্র প্রদর্শন ও ওয়াকিটকি দেখিয়ে নিজের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতেন নাসিম। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্ত্রীর সহযোগিতায় ইয়াবা ও বিদেশি মদ সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ডিলার ও খুচরা মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করতেন। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোটের ব্যবসা পরিচালনা করতেন এ দম্পতি। গ্রেপ্তার এড়াতে আন্ডারগ্রাউন্ডে গোপন সুড়ঙ্গে অবস্থিত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্বলিত দরজাযুক্ত অফিসে পালিয়ে থাকতেন নাসিম। তার অনুপস্থিতিতে তৃতীয় স্ত্রী হালিমা আক্তার সালমা প্রতারণার কর্মকা- দেখাশোনা করতেন।
র‌্যাব জানিয়েছে, প্রতারণা, ভূমিদস্যুতা, মাদক ও জালটাকার কারবারসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় প্রতারণা মামলার অন্তত ৫৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রতারণা সংক্রান্ত অসংখ্য জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। বুধবার রাতে শাহ আলী থানাধীন ২৫/২৯, চিড়িয়াখানা রোডে নাসিম গ্রুপের অফিসে অভিযান পরিচালনার সময় তার মালিকানাধীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া যায়। সেগুলোও ভুয়া। তার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী হালিমা আক্তার সালমা এসব প্রতারণার কাজ দেখভাল করতেন। প্রতারক ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদকসহ প্রতারণার চারটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রতারিত ভুক্তভোগীরা র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যারা মামলা করতে ইচ্ছুক, র‌্যাব-৪ তাদের প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com