ড. মাহবুব উল্লাহ্ :
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় প্রণোদনা একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। আমরা জানি, পোশাকশিল্পের জন্য সরকার বিপুল অঙ্কের প্রণোদনা দেয়। অর্থনীতি শাস্ত্রের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল ব্যক্তি এবং যৌথভাবে সংঘবদ্ধ মানুষের স্বার্থের মধ্যে সাযুজ্য সৃষ্টি।
পুরো ব্যাপারটি হল ব্যক্তিকে সমাজের সঙ্গে সমন্বিত করা। সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত হল ক্ষতিকর আচরণ প্রণোদনা ব্যবহার করে নিরুৎসাহিত করা। ব্যক্তি মানুষ অনেক সময় দূষণ সৃষ্টির মতো ক্ষতিকর কাজ করে।
এ ক্ষতিকর কাজকে কল্যাণকর আচরণে রূপান্তর করাই হল অর্থনীতি শাস্ত্রের উদ্দেশ্য। অর্থনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান, যেমন- রাজনীতি বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, সমাজকল্যাণ, মনোবিজ্ঞান, এমনকি ইতিহাসকেও আজকাল সমাজবিজ্ঞান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এসব সমাজবিজ্ঞান থেকে আমরা জানতে পারি সমাজবহির্ভূত চিন্তার তাড়না অনেক সময় সমাজের ভেতর বিদ্যমান কল্যাণকর মানসিকতাকে দূরে সরিয়ে দেয়। অর্থাৎ প্রণোদনা সত্যিকার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না, বরং ক্ষতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক মাইকেল স্যান্ডেল এ ব্যাপারে বাজারের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। তার এ দোষ চাপানোকে আরও সধারণভাবে আমরা বলতে পারি, এটা হল প্রণোদনা। স্যান্ডেল প্রণোদনার বিরোধিতা করেছেন। এ ব্যাপারে যুক্তি হাজির করে বলেছেন, শিশুদের বই পড়ার জন্য অর্থ প্রদান করা অথবা পুরস্কৃত করা সহজেই কার্যকর করা সম্ভব। এ কাজটি সরকার কিংবা অন্য কোনো সাহায্য সংস্থা করতে পারে। বাজার কেবল একটি সুনির্দিষ্ট ধরনের প্রণোদনা তৈরি করতে পারে।
স্যান্ডেল যে যুক্তি হাজির করে এ ধরনের প্রণোদনার বিরোধিতা করেছেন তার সঙ্গে মনোবিজ্ঞানীদের সমালোচনার বেশ মিল রয়েছে। অর্থনীতিতে যেমনটি বলা হয় জিনিসের দাম বাড়লে এর সরবরাহও বৃদ্ধি পায়, এ প্রত্যয়টি বাস্তব ক্ষেত্রে এবং অর্থনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর হতে লক্ষ করা যায়। কিন্তু এটা সব সময় সঠিক হয় না।
সমাজবিজ্ঞানীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হল এ কথা প্রমাণ করা যে, বাহ্যিক প্রণোদনা মানুষের হৃদয়ে যে প্রণোদনা কাজ করে তাকে নির্বাসিত করে। হৃদয় থেকে উৎসারিত প্রণোদনাকে মনোবিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন Intrinsic motivation। শিশুদের বই পড়া অথবা পরীক্ষায় পাস করার জন্য আর্থিক প্রণোদনা দিলে তারা পড়ার প্রতি আকৃষ্ট হবে অথবা যা কিছু তারা পড়ছে সেগুলো বারবার ভালো করে রিভাইস করবে।
কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তারা বই পড়ে জ্ঞান আহরণের জন্য কী করবে সে ব্যাপারটি নিয়ে সন্দেহ আছে। যেমন টাকা না পেলে পড়তে না চাওয়ারও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। শিশুদের বই পড়ার জন্য এভাবে উৎসাহিত করা হিতে বিপরীত হতে পারে। কাজেই কোনোরকম পুরস্কার অথবা বস্তুগত বা আর্থিক পুরস্কার দিয়ে বই পড়ার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়ার মনুষও দিনে দিনে কমে যেতে পারে। আসল কথা হল, বই পড়ার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া, অর্থ বা অর্থকড়ি কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করা।
বাংলাদেশে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার কালচার চর্চা করছেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রোগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। লাইব্রেরি মানুষের জীবনে এবং মনমানসিকতায় কী ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে পারে তা তো আমরা রবীন্দ্রনাথের ‘লাইব্রেরী’ প্রবন্ধটি পাঠ করে হৃদয়ঙ্গম করেছি। অনেক সময় মূল লক্ষ্য পূরণ করার জন্যও তরুণরা লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্রছাত্রী বিসিএস ক্যাডারে চাকরি পাওয়ার লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছে তারা অতি প্রত্যুষে লাইব্রেরিতে বসে বিসিএস পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে রচিত গাইডবুক মুখস্থ করে ফেলার মতো চেষ্টায় অবতীর্ণ হয়। অথচ তারা তাদের জন্য নির্বাচিত পাঠ্যবই অথবা রেফারেন্স বই ছুঁয়েও দেখে না। অর্থাৎ তারা অনার্স ও মাস্টার্স করার জন্য যে বিষয়ের ছাত্র হয়েছে সে বিষয় সম্পর্কিত গ্রন্থ এবং গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ করতে উৎসাহী নয়।
এমন ছাত্রছাত্রীদের মৌখিক পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেখা গেছে তারা তাদের বিষয়ভুক্ত কিছু বইয়ের সঠিক টাইটেল এবং লেখকের নাম বলতে পারে না। এমন বিসিএস-পাগল ছেলেরা অথবা মেয়েরা কর্মজীবনে দেশকে কতটুকু কী দিতে পারবে সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর তারা অফিসের ফাইলের বাইরে অন্য বইপত্র পড়া থেকে বিমুখ থাকে।
অসুস্থ রোগীর জন্য যেসব রক্তদাতা রক্ত দান করে তাদের টাকা দিলে রক্তের পরিমাণ বাড়ে না। তবে এ কথা সত্য টাকা পেলে এদের মধ্যে একদল উৎসাহ বোধ করে, কিন্তু অন্যরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। মানুষ চায় তার চেহারাটা তার নিজের কাছে বা অন্য কারও কাছে ভালো লাগুক। এ কাজটি করার জন্য যদি আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয় তাহলে পরিণতি হতে পারে নিষ্ফল। জনসমক্ষে সাজগোজ ও মেকাপ করে হাজির হলে পরিণতি ফলাফল শূন্য হয়ে পড়তে পারে।
আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে সমাজের জন্য কোনো ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করা যেমন, রক্তদান করা অনেক সময় মহত্ত্বের পরিবর্তে লোভের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারে। আমরা যেভাবে আশা করি রক্তদানকারীদের রক্ত দিতে দেখে সমাজের অন্যরা উৎসাহিত হবে এমন আকাঙ্ক্ষা পূরণ না-ও হতে পারে। অর্থনীতির মৌলিক সূত্রগুলো আমাদের জানিয়েছে যে, প্রণোদনা দিলে কোনো বিশেষ লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, প্রণোদনা অনেক সময়ই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে না, বরং কোনো নির্দিষ্ট পেশা বা গোষ্ঠীর কাছ থেকে আমরা যদি কিছু পাওয়ার আশা করি তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাবে আমাদের আশা পূরণ হওয়ার নয়। অনেক গবেষণা থেকে এর পক্ষে দৃষ্টান্ত দেখা গেছে।
যেসব দৃষ্টান্ত নিয়ে আলোচনা করা হল সেগুলো মানসম্মত অর্থনীতির দৃষ্টান্ত। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে নৈতিকতার প্রশ্ন খুব জোরালোভাবে দেখা দিয়েছে। এসব প্রশ্ন বাজার অথবা সুনির্দিষ্ট ধরনের প্রণোদনার সঙ্গে যুক্ত। দৃষ্টান্তস্বরূপ মানুষের অঙ্গ দান করা, মা না হয়েও মায়ের দায়িত্ব পালন করা, স্টেমসেল গবেষণা, পতিতাবৃত্তি অথবা ঘুষ দিয়ে সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে যোগদান এড়িয়ে যাওয়া।
কিন্তু কেন? দার্শনিক Kant জিনিসপত্রের দাম এবং মর্যাদার মধ্যে বিরাট একটি ভেদরেখা এঁকে দিয়েছেন। বাজার সম্পর্কে আমাদের যে আপত্তি তার সঙ্গে অন্যান্য লক্ষ্যের তুলনা স্বাভাবিকভাবে আসতে পারে। মানুষের মধ্যে অনেকেই অর্থ অর্জনের চেয়ে অন্য লক্ষ্যগুলোকে বেশি মূল্যবান মনে করেন। আর্থিক বিবেচনার সঙ্গে মানবজীবনের পবিত্রতার ওপর বিশ্বাস একটি বড় ধরনের দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখা দেয়। আমরা সবাই জানি জীবন অমূল্য।
জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে আমাদের মগজে প্রোথিত সংস্কারটি এমন যে, এ দু’য়ের মধ্যে কোনো তুলনা হয় না। সমাজতত্ত্ববিদ এমিল দুরখিম ব্যাপারটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফল সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ফলে দেখা যায়, স্বাস্থ্যসেবা এবং ব্যক্তিগত জীবনযাপনের স্টাইলের মধ্যে বিরাট ধরনের বিরোধ রয়েছে। ওষুধের কল্যাণে অনেক জীবন যখন রক্ষা পায় তখন বেঁচে যাওয়া মানুষের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করা মানুষের সংখ্যার তুলনা অনেক সময় অধিকতর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
একজন মাত্র মানুষের জীবন রক্ষার জন্য যে পরিমাণ অর্থ অনেক সময় ব্যয় করা হয়, তা দিয়ে আরও অনেক বেশি মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়। এ বিপত্তির মূলে রয়েছে কোনোরূপ সমীক্ষা না করে পছন্দ নির্বাচন করা। শুধু একজন মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে বড় সংখ্যক মানুষকে রক্ষা না করা সুবিবেচনার পরিচয় দেয় না। ব্যাপারটি খুবই অদ্ভুত। ফলে অনেক মানুষই দুঃখবোধ করে।
দার্শনিকরা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের উপযোগ সমৃদ্ধ ফলাফল নিয়ে চিন্তা করেছেন। মানুষ কেন এ ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটা দার্শনিকদের ভাবিয়েছে। বিশিষ্ট দার্শনিকরা এর নাম দিয়েছেন Trolley problem। আমরা কি এমন কোনো কাজ করব যে কাজটি হবে একজন মানুষকে ট্রলির চাকার নিচে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ট্রলিটিকে লাইনচ্যুত করা? হিসাবটি হল এ কাজের ফলে আরেকটু পরেই ট্রলিটি পাঁচজন মানুষকে চাপা দিত। এই যে উভয় সংকট এটাকে অন্যভাবেও দেখা যায়।
একজন শল্যচিকিৎসক কি একজন সুস্থ-সবল মানুষকে হত্যা করে তার দেহ থেকে বিভিন্ন অর্গান সংগ্রহ করে পাঁচজন মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করবে? এখানেও দেখা যাচ্ছে একজন মানুষের জীবনের চেয়ে পাঁচজন মানুষের জীবন রক্ষা করা জরুরি বিবেচনা করা হচ্ছে। অথবা কোনো মানুষের আপন সন্তান যদি নদীতে ডুবে যেতে থাকে তাহলে কি তিনি ডুবন্ত আরও পাঁচজনকে রক্ষা করার চেষ্টা করবেন? বস্তুত এভাবে সবাইকে বাঁচানোর চেষ্টা অসম্ভব।
এ ধরনের কল্পিত পছন্দ অনেক মানুষের মধ্যে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করবে। তারা প্রশ্ন তুলবে কেন একজনকে বাঁচাতে গিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হল? দার্শনিক রল্স অজ্ঞানতার অবগুণ্ঠনের কথা বলেছেন। আমরা কি জানি পাঁচজনের জীবন রক্ষার চেষ্টা করার চেয়ে একজনের জীবন রক্ষা করা শ্রেয়? কারণ সে পরিণত বয়সে সমাজ ও মানুষের জন্য কল্যাণকর অনেক কাজ করবে।
যেসব প্রশ্ন উত্থাপিত হল সেগুলো পুরোপুরি কল্পিত প্রশ্ন নয়। একেবারেই নয়। বাস্তব জগতে এ ধরনের দৃষ্টান্ত আসলেই দেখতে পাওয়া যায়। সরকারসমূহ এ ধরনের দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যায় যখন বিমান হাইজ্যাক করে যাত্রীদের পণবন্দি করা হয়। সরকার কী করবে? পণবন্দি করা যাত্রীগুলোর জীবন রক্ষা করার জন্য দাবিকৃত অর্থ প্রদান করবে? হাইজ্যাককারীদের জীবন বাঁচালে ভবিষ্যতে আরও হাইজ্যাকের ঘটনা ঘটবে।
অনেক সময় হাইজ্যাকাররা বিমানের পাইলট ও তার সহযোগীকে মারতে চায়, সব যাত্রীকে নয়। এ অবস্থায় আপস করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। হাইজ্যাকাররা যাকে বা যাদের হত্যা করতে চায় তাদের আমরা চিনি। তারা দেশ ও জনগণকে কী দিতে পারে, তাও আমরা জানি। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি কোনো বিমান হইজ্যাক করা হয় তাহলে তার মধ্যে আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানীও থাকতে পারে। এই যে ভবিষ্যতের যাত্রীদের সম্পর্কে না জানাকেই বলে ‘অজ্ঞতার অবগুণ্ঠন’।
ভবিষ্যতের যাত্রীগুলো বর্তমানে প্রদত্ত পণের অর্থের ভিকটিম হয়ে যায়। সুতরাং এসব ব্যাপারে সরকারের একটি সাধারণ পলিসি থাকা উচিত। কেস বাই কেস সিদ্ধান্ত নেয়া বিপজ্জনক। ১৯৭৭ সালে একটি জাপানি বিমান জাপান রেড আর্মি কর্তৃক হাইজ্যাক হয়ে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। তারা জাপান সরকারের কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার দাবি করেছিল এবং তাদের কমরেড বন্ধুদের মুক্তিও দাবি করেছিল।
বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এজি মাহমুদ হাইজ্যাকারদের সঙ্গে দেনদরবার করছিলেন। কিন্তু সেদিন বিমানবাহিনীর এয়ারম্যানরা একটি ক্যু ঘটাতে চেয়েছিল। তাদের ক্যু’র ফলে বিমানবাহিনীর বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নিহত হন।
এয়ার ভাইস মার্শাল এজি মাহমুদ কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। জাপান সরকার হাইজ্যাকারদের দাবি মেনে নিলে হাইজ্যাকাররা বিমানটি নিয়ে ঢাকা থেকে খুব সম্ভবত আলজেরিয়ার দিকে চলে যায়। দিনটি ছিল ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর।
বিমানবাহিনীর এয়ারম্যানরা ক্যু’তে অংশগ্রহণ করার ফলে চাকরি হারান এবং অনেকেই বন্দি হন। কোর্ট মার্শালে এদের বিচার হয়। অনেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ফলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পুরো কাঠামোটি তছনছ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রেও ঘটনা ঘটেছে অজ্ঞানতার অবগুণ্ঠনের আড়ালে। সৌভাগ্যের বিষয় সেই থেকে আজ পর্যন্ত জাপানের কোনো বিমান হাইজ্যাক হয়নি।
ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ
Leave a Reply