বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সড়কের আশপাশসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির আশপাশে স্তূপ করে রাখা হয় আবর্জনা। আর এর দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে পৌরসভার খালগুলোতে ফেলছেন। ফলে খালগুলোর স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। বরগুনা শহরের সোনাখালি এলাকা। এই স্থানে শহরের ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র স্তুপ করে রাখা হয়। পৌরবাসীর চলাচলে দুটি রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে পচা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনা। ফলে রাস্তা দুটোতে জনচলাচল এক প্রকার বন্ধপ্রায়। হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ব্যবহৃত ময়লা আবর্জনা ও যন্ত্রপাতি ফেলে রাখছে এই স্তূপের রাস্তায়। আবর্জনার স্তূপ থেকে ময়লা পানি খালে যাওয়ায় পানিদূষণে ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি, আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও স্থানীয়রা। বিদ্যালয়ের পাশে ময়লার স্তূপ জমা থাকে। পড়াশোনার পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রী চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ময়লা-আবর্জনার পাশ দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। পৌরসভার মেয়রের কাছে বারবার বলা সত্যেও এর কোনও প্রতিকার পাননি তারা।অভিযোগ রয়েছে তিনশ’র মতো সুইপার রয়েছে যারা নিয়মিত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে কাজ করছেন ৪০ থেকে ৫০ জন। সচেতন মহলের দাবি মেয়রের খামখেয়ালিপনায় পৌর শহরের আবর্জনা ও ধুলাবালির শহরে পরিণত হয়েছে। এদিকে ময়লা আবর্জনা বিষয়টি তিনি একপ্রকার এড়িয়ে গেলেও সুইপাররা অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের কাজ করছেন বলে এমন দাবি পৌর মেয়রের।
Leave a Reply