চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের আহম্মদপুর ইউনিয়নে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করে বিপাকে পরেছে গৃহবধু রেহানা খাতুন। গত ৭ ডিসেম্বর চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুরী . দেবরসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা স্বামী মো. রুবেলের গত ৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে আদালতে শর্তসাপেক্ষে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে ফের ১০ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী রেহানাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন।স্বাজনরা খবর পেয়ে রাতেই স্বামীর নির্যাতনে আহত গৃহবধু রেহানাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসাপাতালে ভর্তি করেন।
চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু রেহানা জানান, আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ফরিবাদ গ্রামের আব্দুর রশিদ মাঝির ছেলে মো. রুবেলের সাথে ১২ সনে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ২ সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুক দাবী করে আসছিলেন। সম্প্রতি সময়ে স্বামী রুবেলকে ব্যবসার করার জন্য তিন লাখ টাকা দেয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে নোয়াখালী মাছের ব্যবসা শুরু করেন। সেখানে জৈনক এক নারীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরেন স্বামী রুবেল। পরে ওই নারীকে বিয়ে করে। এনিয়ে পারিবারিক ভাবে আমার সাথে কলহ চলে আসছিলো। তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে স্বামী রুবেল আরো দুই লাখ টাকা দাবী করেন। তাদের দাবীকৃত দুই লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করায় দফায় দফায় তার ওপর নির্যাতন করতো স্বামী রুবেল, শ্বশুর রশিদ মাঝি, দেবর জামাল, আলামিন, ও শ্বাশুরী ফুলজান বিবি। স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে শিকার হয়ে গত ৭ ডিসেম্বর চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে স্বামী , শ্বশুর, শ্বাশুরী . দেবরসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা স্বামী মো. রুবেলের গত ৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে আদালতে শর্তসাপেক্ষে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে ফের ১০ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী রেহানাকে ফের মারধর করে গুরুতর আহত করেন। স্বজনরা খবর পেয়ে স্বামীর নির্যাতনে আহত গৃহবধু রেহানাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসাপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্ত স্বামী রুবেল এঘটনায় কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। চরফ্যাসন দুলারহাট থানার ওসি মোরাদ হোসেন মিয়া জানান. এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply