ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা সদর হাসপাতালে টাকা ছাড়া মিলছে না করোনার টিকার সনদ। হাসপাতালের স্টাফ ও দালাল চক্র সনদ প্রত্যাশীদের জিম্মি করে টিকার সনদ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সনদ প্রত্যাশী প্রবাসীরা। টিকার সনদ ছাড়া বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাধ্য হয়ে টাকার বিনিময়ে সনদ নিচ্ছেন অনেকে। সরেজমিনে ভোলা সদর হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সদুরচর এলাকার ওমান প্রবাসী মো. মাসুদের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর পর ছুটিতে বাড়ি এসেছি। সাধারণ ছুটি ও করোনার জটিলতার কারণে পাঁচ মাস ছুটি শেষে এবার কর্মস্থলে যাওয়ার পালা। কিন্তু কারোনার টিকার সনদ ছাড়া বিদেশে যাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গত ৩১ জুলাই ভোলা সদর হাসপাতালে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করি। ৩১ আগস্ট টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করি। কিন্তু মোবাইল ফোনে টিকার সনদের মেসেজ না আসায় সনদ তুলতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি টিকার রেজিস্ট্রেশন কাজে নিয়োজিত হাসপাতালের স্টাফ মো. রাজিবের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সনদের বিনিময়ে দুই হাজার টাকা দাবি করেন। ৫০০ টাকার বিনিময়ে টিকার সনদ নিতে চাই। তাতেও রাজি না হয়ে দুই দিন পরে বিকাশে টাকা এনে সনদ নিতে বলেন রাজিব। পাশাপাশি টাকা ছাড়া এই সনদ মিলবে না বলে তিনি জানান। শুধু ওমান প্রবাসী মাসুদ নয় এ রকম অনেক প্রবাসীকে ভোলা সদর হাসপাতালে করোনার টিকার সনদ পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে টিকার সনদ রেজিস্টেশন কাজে নিয়োজিত হাসপাতালের স্টাফ মো. রাজিব এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। ভোলার সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, সার্ভার জটিলতা ও অনলাইন জ্যামের কারণে অনেকের টিকা দেওয়ার তারিখ এসে গেছে কিন্তু মেসেজ যায়নি। এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের রেজিস্ট্রেশন কাজ চলমান আছে। প্রবাসীদের টিকার রেজিস্ট্রেশন এন্ট্রি করতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এর আগে আমরা আমি পাইনি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে জেলার দুই-একটা উপজেলায় এমন কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, তার সুষ্ঠু সমাধান আমরা করেছি। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।
Leave a Reply