শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
মৃত্যুর ২৪ দিন পর এক নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি…!

মৃত্যুর ২৪ দিন পর এক নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি…!

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ॥ মৃত্যুর ২৪ দিন পর এক নারীকে জীবিত দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে দলিল। দলিল বাতিল চেয়ে মামলা করা হয়েছে আদালতে। পটুয়াখালীর বাউফলের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এ ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর দুরারোগ্য ব্যাধিতে মারা যান উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের স্ত্রী নি:সন্তান রেহেনা বেগম (৫৭)। কিন্তু একই সালের ২৮ নভেম্বর তিনি জমির দলিল রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন দাবি সাইফুল ইসলাম নামে এক জনের।
ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া মৃত্যু সনদ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানায়, রেহেনা বেগমের স্বামী আলতাফ হোসেন মারা যান ২০১১ সালে। এরপর ওয়ারিশ হিসেবে জীবিত আছেন তিন চাচাতো ভাই মৃত ফজলুল হক সিকদারের ছেলে আবুল হোসেন, একেএম শফিউল আলম ও মামুন হোসেন। কিন্তু রেহেনা বেগমের ওয়ারিশ না হলেও উপজেলার ভরিপাশা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম নামে একজন দাবি করছেন ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর দুটি অছিয়াতনামা দলিলে ৭৪ শতাংশ জমি তাকে নিবন্ধন করে দেন রেহেনা বেগম। এতে একই তারিখের ৬৯/২০১৯ নম্বরে দলিলে চন্দ্রপাড়া মৌজার ৫০ শতাংশ ও ৭০/২০১৯ নম্বর দলিলে ভরিপাশা মৌজার ২৪ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মদনপুরা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আবুল কালাম বলেন, ‘দলিল নিবন্ধন কালে দাতাকে ছবিযুক্ত স্বাক্ষর ও সাব-রেজিষ্ট্রারের সামনে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে হলফনামা দিতে হয়। রেহেনা বেগমের মৃত্যুর ২৪ দিন পরে কিভাবে দলিল রেজিস্ট্রি হলো তা বোধগম্য নয়। এমন জাল-জালিয়াতির শাস্তি হওয়া উচিত।
ওয়ারিশ মামুন হোসেন বলেন, ‘মারা যাওয়ার আগে থেকে দেখভাল করলেও সম্প্রতি জানতে পারি সাইফুল নামে একজনকে ওই জমির অছিয়াতনামা দলিল দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় রেহেনা বেগমের মৃত্যুর ২৪ দিন পরে দলিল রেজিস্ট্রি দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় থেকে সইমোহর (নকল কপি) উঠিয়ে তা বাতিল চেয়ে পটুয়াখালীর বাউফল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছি।’
এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রেহেনা বেগম জীবিত থাকাকালীন অছিয়াতনামা দলিল দিয়েছেন। তিনি ওই সালের ৫ ডিসেম্বর মারা যান।’
এ ব্যাপারে সাব-রেজিষ্ট্রার কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে দলিল নিবন্ধনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি।’ তবে ওই সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রব বলেন, ‘জমি দাতাকে অবশ্যই সাব-রেজিষ্ট্রারের সামনে উপস্থিত হতে হয়। কোনো ভাবেই মৃত্যু ব্যক্তির নামে দলিল নিবন্ধন হওয়ার সুযোগ নেই। তবে এই বিষয়টি কিভাবে ঘটেছে তা আমার জানা নেই।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com