বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
মৃত্যুর ২৪ দিন পর এক নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি…!

মৃত্যুর ২৪ দিন পর এক নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি…!

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ॥ মৃত্যুর ২৪ দিন পর এক নারীকে জীবিত দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে দলিল। দলিল বাতিল চেয়ে মামলা করা হয়েছে আদালতে। পটুয়াখালীর বাউফলের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এ ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর দুরারোগ্য ব্যাধিতে মারা যান উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের স্ত্রী নি:সন্তান রেহেনা বেগম (৫৭)। কিন্তু একই সালের ২৮ নভেম্বর তিনি জমির দলিল রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন দাবি সাইফুল ইসলাম নামে এক জনের।
ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া মৃত্যু সনদ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানায়, রেহেনা বেগমের স্বামী আলতাফ হোসেন মারা যান ২০১১ সালে। এরপর ওয়ারিশ হিসেবে জীবিত আছেন তিন চাচাতো ভাই মৃত ফজলুল হক সিকদারের ছেলে আবুল হোসেন, একেএম শফিউল আলম ও মামুন হোসেন। কিন্তু রেহেনা বেগমের ওয়ারিশ না হলেও উপজেলার ভরিপাশা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম নামে একজন দাবি করছেন ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর দুটি অছিয়াতনামা দলিলে ৭৪ শতাংশ জমি তাকে নিবন্ধন করে দেন রেহেনা বেগম। এতে একই তারিখের ৬৯/২০১৯ নম্বরে দলিলে চন্দ্রপাড়া মৌজার ৫০ শতাংশ ও ৭০/২০১৯ নম্বর দলিলে ভরিপাশা মৌজার ২৪ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মদনপুরা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আবুল কালাম বলেন, ‘দলিল নিবন্ধন কালে দাতাকে ছবিযুক্ত স্বাক্ষর ও সাব-রেজিষ্ট্রারের সামনে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে হলফনামা দিতে হয়। রেহেনা বেগমের মৃত্যুর ২৪ দিন পরে কিভাবে দলিল রেজিস্ট্রি হলো তা বোধগম্য নয়। এমন জাল-জালিয়াতির শাস্তি হওয়া উচিত।
ওয়ারিশ মামুন হোসেন বলেন, ‘মারা যাওয়ার আগে থেকে দেখভাল করলেও সম্প্রতি জানতে পারি সাইফুল নামে একজনকে ওই জমির অছিয়াতনামা দলিল দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় রেহেনা বেগমের মৃত্যুর ২৪ দিন পরে দলিল রেজিস্ট্রি দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় থেকে সইমোহর (নকল কপি) উঠিয়ে তা বাতিল চেয়ে পটুয়াখালীর বাউফল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছি।’
এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রেহেনা বেগম জীবিত থাকাকালীন অছিয়াতনামা দলিল দিয়েছেন। তিনি ওই সালের ৫ ডিসেম্বর মারা যান।’
এ ব্যাপারে সাব-রেজিষ্ট্রার কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে দলিল নিবন্ধনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি।’ তবে ওই সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রব বলেন, ‘জমি দাতাকে অবশ্যই সাব-রেজিষ্ট্রারের সামনে উপস্থিত হতে হয়। কোনো ভাবেই মৃত্যু ব্যক্তির নামে দলিল নিবন্ধন হওয়ার সুযোগ নেই। তবে এই বিষয়টি কিভাবে ঘটেছে তা আমার জানা নেই।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com