শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
নবনির্বাচিত উজিরপুর-বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে সান্টুর অভিনন্দন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি করার নির্দেশ নওগাঁ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এম.পি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে ক্ষমতায় না আনলে সুবিধাভোগীদের সকল ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে -পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ৪ ফেব্রুয়ারী বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশ সফল করতে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপি বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার পত্র বিতরণ ৪ ফেব্রুয়ারী বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ রিক্সা পেয়ে আনন্দে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে জড়িয়ে কাঁদলেন অক্ষমবৃদ্ধ ও দুপা-বিহীন প্রতিবন্ধী
‘কিস্তির জন্যে কি গলাত দড়ি দিবার কচ্ছেন হামাক’

‘কিস্তির জন্যে কি গলাত দড়ি দিবার কচ্ছেন হামাক’

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিভিন্ন এনজিও ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায়ে চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই দুর্যোগে কিস্তি আদায়ে কোন চাপ না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশটির বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের কিস্তির টাকার জন্য আগের মতই প্রতিসপ্তাহে এনজিও কর্মিরা তাগাদা দিচ্ছেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলো কিস্তির টাকা আদায়ে ঋণ গ্রহিতাদের চাপ সৃষ্টির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

উত্তরের জেলা বগুড়ার শাজাহানপুর এলাকার একজন গৃহিনী মহিমা বেগম আঞ্চলিক দু’টি এনজিও’র কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে কৃষি জমি কিনেছিলেন। পাঁচ মাস তিনি নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে কিস্তির টাকা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে তিনি অর্থ সংকটে পড়েন। মহিমা বেগম বলেছেন, তার অর্থসংকট এবং মহামারি কিছুই বুঝতে নারাজ এনজিও’র লোকজন।

“হামরা কছি যে, তিন মাস লকডাউন দিচে, আপনে ট্যাকার চাপ দ্যান ক্যা? হামি বলতেছি যে, হামার স্বামী বাইরে আছে দিবার পারতেছে না। এরা শোনেই না। হামি তারপর বলছি যে, আপনে কি কিস্তির জন্যে গলাত দড়ি দিবার কচ্ছেন হামাক? কয় না না গলাত দড়ি দেবেন ক্যা, আপনি চেষ্টা করেন। তো চেষ্টা করলে কোটে পাওয়া যায় কন। এই মুহুর্তে কাম করলেই মানুষ ট্যাকা পাচ্ছে না।”

রংপুর জেলার সৈয়দপুরের এম হাসান একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অল্প বেতনে চাকরি করেন। তিনি দু’টি স্থানীয় এনজিও’র কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বিপদে পড়ে। তিনি বলেছেন, এখন কিস্তার টাকার জন্য এনজিও কর্মিরা যেভাবে তাগাদা দেন, তাতে তার বিপদ আরও বেড়েছে।

“রোড অ্যাক্সিডেন্ট করার পর আমি সুদের ওপর কিছু মানুষের কাছে টাকা নেই। এই টাকাটা শোধ করতে গিয়ে আমি এনজিও’র দ্বারস্থ হই। দু’টা এনজিও থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়েছিলাম। এই টাকায় আমার প্রতি মাসে কিস্তি ছিল ২১হাজার টাকার মতো।এখন সপ্তাহে সপ্তাহে তারা ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে, কিস্তি না দিলে মামলা করবে এবং বিভিন্ন ব্যবস্থা নেবে।”

“এখন মনে হচ্ছে, পালিয়ে বাঁচতে পালে ভাল হয়, তাওতো পরবো না। পালিয়ে বাঁচারওতো সুযোগ নাই আমাদের।”

করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে যে এলাকার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সুন্দরবন লাগোয়া সাতক্ষীরা জেলার সেই শ্যামনগর এলাকার একজন গৃহিনী প্রতিমা রাণী মিস্ত্রী বলেছেন, কিস্তির টাকার জন্য তাদের চাপ দিচ্ছে না। তবে প্রতিসপ্তাহে এনজিও’র কর্মিরা এসে কিস্তির কথা মনে করিয়ে দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

“মাছ চাষের জন্য ঋণ নিছিলাম।প্রতিসপ্তাহে তারা আসতেছে এবং বলতেছে, আমাদের বাকিটা দেন।তারা খুব চাপ দিচ্ছে না।কিন্তু চাচ্ছে আর কি।”

ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারি এনজিওগুলোর একটি ফোরামের কর্মকর্তা এবং টিএমএসএস নামের এনজিওর নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেছেন, এনজিও কর্মিরা গ্রামে গ্রামে ঋণ গ্রহিতাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। কিন্তু কোন চাপ দেয় না বলে তিনি দাবি করেন।

“মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নিবন্ধিত কোন সংগঠন গ্রামে কিস্তি মূলত যায় না এবং চাপও দেয় না।আর সরকারের নির্দেশ আছে যে চাপ দেয়া যাবে না।যারা স্বেচ্ছ্বায় দেবে, সেটা সংগ্রহ করতে হবে। সেটাই আবার অন্য একজন যে কিছু করতে চায়, তাকে দিতে হবে। গ্রাম পর্যায়ে যাতে মানি সার্কুলেশন থাকে। আমরা সেটাই করছি।”

সরকারি গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস এর ড: নাজনীন আহমেদ মনে করেন, ছোট এনজিওগুলোর জন্য অর্থসহায়তার ব্যবস্থা না করলে ঋণ গ্রহিতাদের কিস্তি আদায়ে চাপ বন্ধ করা মুশকিল।

“বিদেশী সাহায্য নির্ভর এনজিওগুলো বা বড় এনজিও যাদের কমার্শিয়াল অপারেশন আছে, তারা একটু ভাল অবস্থায় আছে। কিন্তু যে এনজিওগুলো স্থানয়ি ফান্ড দিয়ে চলে, তাদের শুধু বলে দিলে লাভ হবে না যে, আপনি টাকা আদায় করবেন না।এই ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচানোর জন্যও কাউন্টার সাপোর্ট পদ্ধতি থাকতে হবে।”

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, গ্রামের ঋণ গ্রহিতাদের ওপর চাপ কমাতে ছোট এনজিওগুলোর অর্থ সহায়তার বিষয়েও তারা চিন্তা করছেন।

“গ্রামে ঋণ গ্রহিতাদের কিস্তি আদায় যেন চাপ দেয়া না হয়, সেটা তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া ছোট এনজিওগুলোকেও সহায়তা বিষয় চিন্তা করা হচ্ছে।”

এনজিওদের ফোরামের হিসাব অনুযায়ী, দেশে চাষাবাদ করা থেকে শুরু করে ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য এবছর তিন কোটির বেশি পরিবার ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com