বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

করোনা মহামারি প্রতিবেশী দেশ ভারতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। দৈনিক আক্রান্তের হার চার লাখ এবং দৈনিক মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। অক্সিজেন সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিন অনেক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এমন ভয়াবহ রূপ নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসের ডাবল ও ট্রিপল মিউট্যান্ট ধরনকে দায়ী করছেন, যেগুলো ভারতীয় ধরন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ভাইরাসের সেই ধরন কোনোভাবে প্রবেশ করলে বাংলাদেশের অবস্থাও ভারতের মতো কিংবা তার চেয়েও ভয়াবহ হয়ে পড়তে পারে। এরইমধ্যে বেনাপোল দিয়ে আসা ছয় যাত্রীর দেহে সেই ভাইরাস শনাক্ত করা গেছে। তাদের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। কিন্তু কে জানে অজান্তে আরো কত আক্রান্ত ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করে গেছে? প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ভারতীয় ধরনগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা সাধারণ করোনাভাইরাসের চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। তা ছাড়া খুব দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসসহ কিছু অঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়। ভারতের তুলনায় আমাদের হাসপাতাল, চিকিৎসকের সংখ্যা, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। তাই অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ভারতীয় ধরন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বহু মানুষ প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে। তাঁদের মতে, ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাংলাদেশে অনেক বেশি। ভারতে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন অনেক বেশি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের এখানে লকডাউন দেওয়া হলেও প্রায় কেউই তা মানছে না। ঈদের আগে দোকান, শপিং মল, মার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি অফিস, কারখানা খোলা রয়েছে। গণপরিবহনও চলছে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত দেওয়া হলেও প্রায় কোথাও তা মানা হচ্ছে না। মার্কেট, শপিং মলগুলোতে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব মানা তো দূরের কথা, অনেকে মুখে মাস্কও পরছে না। এর মধ্যে শুরু হয়েছে ঈদে বাড়ি ফেরা। দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ফেরিঘাটে বিজিবি মোতায়েন করেও বাড়ি ফেরা যাত্রীদের আটকানো যাচ্ছে না। তারা ফেরিঘাটের আশপাশের এলাকা থেকে ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌযানে নদী পার হয়ে নানা ধরনের যানবাহনে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে। এসব কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ঈদের পরপরই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হতে পারে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী টিকার সংকট প্রবল রূপ নিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও বাংলাদেশ টিকা আনতে পারছে না। নতুন করে টিকা প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না আনা গেলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদানও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় করোনা প্রতিরোধেই জোর দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com