দশমিনা প্রতিবেদক ॥ পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ২৬ হাজারের অধিক গ্রাহক। বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে অতিষ্ঠ উপজেলাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চলছে অতিরিক্ত লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের ভেলকিবাজি। বহুদিন ধরে দিনে-রাতে চলছে বিদ্যুতের যাওয়া-আসার মিসডকল। এতে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
গত মাসের ২৩ তারিখ পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা কোরবানির ঈদে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও তা বাস্তবের সাথে মেলেনি। ওই বিজ্ঞপ্তটি জারি করেন পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিস। দশমিনা উপজেলার সিংহভাগ মেইন লাইনের বাউফল থেকে এসেছে।
উপজেলার একাধিক গ্রাহক জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বেশিরভাগ সময় থাকে লোডশেডিং। এরপরও রয়েছে লো-ভোল্টেজ। উপজেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের অবিভাবক জানান, ছেলে-মেয়েরা ঠিকমত পড়াশোনা করতে পারছে না। শান্তিতে কোন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। রাতে একটু শান্তিতে ঘুমানোর উপায়ও নাই। সন্ধ্যার সময় ও সন্ধ্যার পরে যে সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ার সময় ঠিক তখনই হচ্ছে লোডশেডিং বা লো-ভোল্টেজ। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনজীবন। গরমে এ যেন অস্বস্তিকর অবস্থা। এমনিতেই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। এদিকে, পল্লী বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন রকম পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট এক কর্তার ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে দশমিনা উপজেলার শীর্ষ এক কর্মকর্তাকে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দশমিনা উপজেলার সাব-জোনাল অফিসের এজিএম স্বপন কুমার পাল বরিশালটাইমসকে জানান, দশমিনায় কোন লোডশেডিং নাই। আবহাওয়া ও দূর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। আর লো-ভোল্টেজের সমস্যা সমাধানের জন্য উপ-কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান আছে। সেটা হলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
Leave a Reply