পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাব ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে শহর সংযোগ গ্রামীণ সড়কটি পড়ে আছে অবহেলায়। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও জীবনের ঝুঁিক নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ থেকে বড় বিঘাই ইউনিয়নের তিতকাটা পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার শহর সংযোগ গ্রামীণ সড়কটি গত কয়েক বছর ধরেই সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে।
কার্পেটিং উঠে খোয়া কাদায় মিশে ঝুকিপূর্ণ হয়ে আছে সড়কটি। তার ওপর সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে সড়কটির কয়েকটি স্থান বিধবস্ত হলে তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে। কুড়ালিয়া, কাজির হাট, হরতকিবাড়িয়া, বাশঁতলা, খাটাশিয়া এলাকায় খানাখন্দ ছাড়াও বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এসব এলাকার লোকজন চলাচল করছে। এলকাবাসী বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচি দিয়েও পায়নি কোন ফলাফল যার জন্য ক্ষুব্দ স্থানীয়রা। সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিন বড়বিঘাই, ছোট বিঘাই, কালিকাপুর, মাদারবুনিয়া এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়নসহ পাচঁটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন এবং বর্ষাকালে গর্তে পানি ঢুকে তা কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। স্থাণীয় বাসিন্দা জাহিদ হাসান বলেন, অনেক সময় অসুস্থদের নিয়ে এ পথ দিয়েই হাসপাতালে আসা যাওয়া করতে হয় এবং অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদেরকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই ডেলিভারী হয়। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে র্নিবিঘেœ মানুষের চলাচলের উপযোগী করার দাবী জানাচ্ছি। মাদারবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিলন মাঝি বলেন, ‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক মেরামত করা হবে।
Leave a Reply