শামীম আহমেদ, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতকাটা গ্রামে গতকাল দুপুর ১২ঃ০০ ঘটিকায় স্থানীয় হতদরিদ্র মৎস্য জীবি জেলেদের নিয়ে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট উপকূলবর্তী সামুদ্রিক টেকসই মৎস্য প্রকল্পের উদ্ধোগে হতদরিদ্র জেলেদের নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অধিকতর দারিদ্রপীড়িত উপকূলবর্তী দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মৎস্যজীবি জনগোষ্ঠী এই প্রকল্পের উপকারভোগী। বাংলাদেশের সর্বমোট ৬০ হাজার মৎস্যজীবি পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় প্রদান করা হবে। প্রকল্পটি মৎস্য অধিদপ্তরের প্রণীত উপকূল অঞ্চলের দরিদ্র মৎস্যজীবীদের অগ্রাধিকারকৃত জরিপ অনুযায়ী মোট ১৩ টি জেলার ৪৫ টি উপজেলার পিছিয়ে পড়া ৪৫০ টি গ্রামকে এর এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। প্রকল্পের আওতাধীন জেলাগুলো হচ্ছে, সাতক্ষীরা, খুলনা,বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা,ফেনি,কক্সবাজার, লক্ষীপুর ও নোয়াখালী। এর মধ্যে পটুয়াখালী অন্যতম ঝুকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় সদর উপজেলার ইটবাড়ীয়া, ছোট বিঘাই ও বড় বিঘাই ইউনিয়নের কিছু গ্রামের প্রকৃত হতদরিদ্র জেলেদের নিয়ে এ প্রকল্পটির প্রথম ধাপের পথ চলা শুরু। দক্ষিণ তিতকাটা গ্রামের জরিপকৃত হতদরিদ্র মৎস্যজীবিদের নিয়ে ইতিমধ্যে তাদেরকে পূণর্বাসনের কাজ শুরু করেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ( এসডিএফ) পটুয়াখালী সদর উপজেলা শাখা। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের জরিপ অনুযায়ী হতদরিদ্র জেলেদের একটি তালিকাও তৈরী করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা কিন্তু, এলাকার কিছু অসাধু ব্যাক্তি জনৈক কাদের মীরা ও মাসুদ চৌকিদারের নেতৃত্বে বিভিন্ন দপ্তরে দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের সত্যতা জাচাই ও তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে যায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত টিম,এ টিমের সদস্যরা হলেন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম বরিশাল রিজোনাল অফিস প্রতিনিধি ( এসডিএফ), মোঃ নুরুল ইসলাম উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা পটুয়াখালী সদর, মোঃ শরিফুল ইসলাম ক্লাস্টার অফিসার ( এসডিএফ) পটুয়াখালী সদর, মোঃ সোহেল উপজেলা মৎস্য অফিস পটুয়াখালী, উম্মে আম্মারা জিনিয়া সি এ ( এসডিএফ),মোসাঃ মাহমুদা সি এ ( এসডিএফ) ও মোঃ আতাউর রহমান সি এ ( এসডিএফ)। তদন্তকারী টিমের একাধিক সদস্যরা বলেন, এসডিএফ প্রকল্পের কাজ হচ্ছে হতদরিদ্র প্রান্তিক জেলেদের মানোন্নয়নে তাদেরকে পূণর্বাসনের লক্ষে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর কাজ হোলো হতদরিদ্র জেলেদেরকে একটি গ্রামের আওতায় এনে তাদেরকে একটি সমিতির মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত গ্রামের সমিতির অন্তর্ভুক্ত সদস্যদেরকে মোট এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা দেয়া। এবং এ টাকাটা সরকার কখনো ফেরত নিবেনা বরং এসডিএফ এর দেখা শুনা করে তাদের নিজেদেরকে সাবলম্বি হওয়ার জন্য এসডিএফ সবরকম সাহায্য সহযোগিতা করবেন। এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এলাকার হতদরিদ্রদের মুখে হাসি দেখা গেলেও অনেকেই এটাকে ভালো চোখে দেখছেনা না কারন। তারা জেলে না হওয়া সত্বেও তারা চায় এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে, আর এটা নাপেরে বিভিন্ন জায়গায় কিছু মিথ্যা তথ্য দিবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা এসডিএফ বলছে, একমাত্র হতদরিদ্র জেলেদের ছারা কাউকে এ প্রকল্পের আওতায় আনার কোন সুযোগ নাথাকায় আমরা জেলে নয় এমন কাউকে এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবোনা। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা এসডিএফ বলছে তারা শতভাগ জেলের নিয়ে এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়ার প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন এবং এ লক্ষ্যে স্থানীয় সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply