কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ কলাপাড়া পৌর শহর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনে শঠতা ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কমিটিতে স্থান না পাওয়া বঞ্চিতরা। সোমবার বেলা ১১ টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আশ্রাব আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন, কলাপাড়া শহরে আওয়ামী লীগের কমিটির তালিকা প্রনয়নে ব্যাপক অনিয়ম এর মাধ্যমে হাইব্রিড কাউয়াদের দলে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ১৬ জন ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক পরিচয় বিহীন অসাংগঠনিক কর্মীর নাম অন্তভ’র্ক্ত করে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিতে পায়তারা করছে। ১৬ নেতা কর্মী বাদ দিয়ে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নিজেদের পছন্দের বর্নচোরা মটোরসাইকেল চালক, সমাজ বিরোধী সুবিধাবাদী হাইব্রিডদের দলে অন্তভূক্ত করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরোও উল্লেখ করেছেন, গত তিনিবার (দলীয়) নির্বাচিত সাবেক এমপি ও বর্তমান কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএম রাকিবুল আহসান এর ভাই কাওছারুল আহসান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সুবেদার আশ্রাব আলী, এবিএস খালেক খান, নাসির উদ্দিন খালাসী, সাবেক ছাত্রলীগ সভপতি মহসীন পারভেজ, ছত্তার মোল্লা, কামাল মাস্টার, শিশির মজুমদারসহ ১৬ নেতা-কর্মীও নাম কেটে দিয়ে জন বিচ্ছিন্ন নেতাদেও দিয়ে আওয়ামী লীগের তৃনমূল ভোটের পায়তার পৌরসভার মনোনয়ন নিশ্চিত করতে এই পন্থা অবলম্বন করেছে। এই সব নেতা কমীদের বাদ দিয়ে কমিটিতে অন্তভ’ক্ত করা হয়েছে, বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া অধ্যাপক আবদুস ছালাম, হোন্ডা চালক থানার সোর্স বা দালাল ফয়সাল, দেলওয়ার, মিলনসহ এই রকম লোকজনকে শহর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। এমন কি পিতা-পুত্রকে একই কমিটিতে অন্তভ’ক্ত করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, কমিটিতে নব্য যাদের অন্তভ’ক্ত করা হয়েছে তাদের বাদ দিয়ে ত্যাগী নে-কমীদের দলে অন্তভ’ক্ত করে ফের কমিটি করতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়মীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বঞ্চিতদের মধ্যে ৭ নেতা-কর্মী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সাধারন সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আখতাউর রহমান হারুন, হাবিবুর রহমান টিকলুসহ ১০ নেতাকর্মী। এব্যাপারে কলাপাড়া পৌর কমিটির বর্তমান সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বিপুল হাওলাদার জানান,
এখন পর্যন্ত কমিটি অনুমোদিত হয়নি। এটি বলতে গেলে খসরা কমিটি। এটি পুনর্গঠণ করার সুযোগ রয়েছে। তাঁদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার কিংবা অন্তর্ভূক্তির সুযোগ রয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক ও কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম জানান, স্বজনপ্রীতির কোন সুযোগ নেই। কারন আমার কোন ভাইকে কমিটিতে নেয়া হয়নি। আর কমিটি গঠণ করে অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। বঞ্চিতদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুসারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এখানে ব্যক্তিগত কোন ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি।
Leave a Reply