কুয়াকাটা প্রতিনিধি ॥ দক্ষিণের নির্মল বাতাসে সৈকতে পর্যটকদের ছোটাছুটি। কেউ সমুদ্রের পানিতে গোসল করছেন, কেউ হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউবা সেলফি তোলায় ব্যস্ত। করোনার মধ্যেও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার আকর্ষণ যেন একটুও কমেনি পর্যটকদের কাছে। করোনার ভয়কে জয় করে শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে সৈকতে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সরেজমিনে সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, হই-হুল্লোড়, খেলাধুলা আনন্দের সীমা নেই আগত পর্যটকদের। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুঁটকিপল্লী, মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধমন্দির, রাখাইন মহিলা মার্কেটসহ আকর্ষণীয় সব স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের চাপ বেশি থাকে। এছাড়া বিশেষ কোনো ছুটির দিনে এখানে পর্যটক আসে। এ সময় হোটেল-মোটেলগুলো অগ্রিম বুকিং হয়ে যায়। তবে শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে দূর-দূরান্ত থেকে এসব পর্যটক ছুটে এসেছেন। ফলে পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পর্যটক শায়ন্তী বলেন, সৈকতে দাঁড়িয়ে দক্ষিণের নির্মল বাতাস সাবার কাছেই ভালো লাগার কথা। তবে কয়েকবার কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু আগের সেই সৌন্দর্য নেই। সৈকত ভেঙে ছোট হয়ে গেছে। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ইট-সুরকির ভাঙা অংশ। এতে চলাফেরা করা বিপজ্জনক। এগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইন আমির বলেন, মহামারি করোনা উপেক্ষা করে শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে দল বেধে এখানে ছুটে এসেছেন পর্যটকরা। কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে কুয়াকাটায় বেশ পর্যটকদের আনাগোন বেড়ে গেছে। আমরাও চেষ্টা করছি পর্যটকদের সেবা দিতে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. মিজানুর রহমান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
Leave a Reply