পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘদিন পর্যন্ত জরাজীর্ণ ভবনে পরিচালিত হয়ে আসছে। দশমিনা উপজেলা আদালত ভবনটি ১৯৮৫ সনের ৭ই নভেম্বরে তৎকালীন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ওয়ালিউল্লাহ সিদ্দিকী উদ্ধোধন করেন। পরবর্তীতে দশমিনা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্যক্রম পটুয়াখালী জেলায় পরিচালিত হয়। এরপর ভবনটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে থাকে দীর্ঘদিন। দশমিনা উপজেলা আইনজীবীদের বিভিন্ন মহলের তদবির শুরু হয় দশমিনা উপজেলায় পূনরায় আদালত পরিচালনার জন্য। কারন দশমিনা উপজেলায় রয়েছে ৭টি ইউনিয়ন এতে জনসংখ্যাও রয়েছে এক লাখ ত্রিশ হাজারের মত। এতে প্রায় লোক জনই পটুয়াখালী গিয়ে মামলা পরিচালনা করতে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের, দীর্ঘদিন বিভিন্ন মহলে তদবিরের পর ২০০০ সালের ৪ আগষ্ট তৎকালীন আইন মন্ত্রী, আবদুল মতিন খসরু-এমপি ও পটুয়াখালী ৩ আসনের এমপি এবং তৎকালীন বস্রপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব আ.খ.ম. জাহাঙ্গীর হোসেন দশমিনা উপজেলা ফৌজদারী আদালত পূর্নবহালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেই থেকে আজও পর্যন্ত চলোমান রয়েছে ১৯৮৬ সনের ভবনে দশমিনা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক কার্যক্রম। আর এখন বর্তমানে আদালত ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, আদালতের মূল কার্যক্রম পরিচালনা করার কক্ষে বৃষ্টি হলেই ছাদ গেমে গেমে পানি পরার কারনে আইনজীবীদের মামলা পরিচালনা করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মামলা পরিচালনা কক্ষে এজলাসে ছাদের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। আদালতের মূলফটকে ডুকতে দুইটি রাস্তা সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় ভরে যায়। দশমিনা উপজেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড.সিকদার গোলাম মোস্তফা বলেন, আদালত ভবনটি দির্ঘদিনের পুরাতন, ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা গেছে, বৃষ্টি হলে মামলা পরিচালনার এজলাসে ছাদ গেমে বিভিন্ন স্থানে পানি পড়ে। আদালতের প্রবেশমুখে দুটি রাস্তা রয়েছে কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই দেড় থেকে ২ ফুট পানি জমে থাকে। আদালতে ঢুকতে বিকল্প কোন রাস্তাও নেই। যার কারনে আদালতে আইনজীবী এবং আদালতে বিচার প্রার্থীদের প্রবেশে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্তমানে আদালত ভবনটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন এবং আদালত ভবনটি নতুনভাবে করা দরকার। তা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। দশমিনা উপজেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইকবাল হোসেন বলেন, দশমিনা উপজেলা আদালত ভবনটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে অনেক পুরাতন ভবনে আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির কথা শুনলে যেন আৎকে উঠে আইনজীবীরা, আদালত ভবনটি নতুন ভাবে তৈরি করা জরুরী বলে মনে করেন।
Leave a Reply