রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বাউফলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেন দালাল মহসিন!

বাউফলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেন দালাল মহসিন!

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার নামে মোট অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ কাজে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের চিহ্নিত একটি দালাল চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত টাকা না দেওয়ায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে অনেক পরিবারকে। দালালের হাতে এক গৃহবধূ লাঞ্ছিত হওয়ারও অভিযাগ রয়েছে। বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে ছোট ডালিমা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মো. মহসিন হাওলাদার (৩৫)। তিনি ছোট ডালিমা গ্রামের মো. হানিফ হাওলাদারের ছেলে।
মহসিন হাওলাদার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামে ২০টি পরিবারের কাছ থেকে প্রতি মিটারের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং খুঁটি স্থাপনের নামে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কাজ না করেও চুক্তিকৃত টাকা নিতে হুমকি ও নির্যাতন চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। লাঞ্ছনার শিকার ছোট ডালিমা গ্রামের নুরনাহার বেগম নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘একটি খাম্বার জন্য মহসিনের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয় তাকে। তবে টাকা নেওয়ার ৩ মাসের মধ্যেও খাম্বা দিতে পারেনি মহসিন। পরে অপর এক দালালের মাধ্যমে খাম্বা পাই। এরপরেও মহসিনকে বাকি ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। টাকা না দিতে চাওয়ায় মারধরের শিকার হতে হয়। চুক্তি অনুযায়ী খাম্বা না দিলেও টাকা ঠিকই বুঝে নেয় মহসিন হাওলাদার।’
একই গ্রামের খলিল পেশকার বলেন, আমার খামারে সরকারিভাবে বিদ্যুতের খুঁটি দেওয়া হয়। তারপরও মহসিন টাকা দাবি করে হুমকি দিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহসিন ছোট ডালিমা গ্রামের একাধিক পরিবারের কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে অনেকগুলোই অস্বচ্ছল। অনেকে আলোর মুখ দেখার জন্য ঋণ করে, আবার কেউ সোনার অলঙ্কার বন্ধক রেখে তাকে টাকা দিয়েছেন। ভুক্তভোগী এসহাক সরদার, ছালাম মাস্টার, ফোরকান, জাহাঙ্গীর, কবির, শাহআলম, নান্নু পেশকার, আইয়ুব আলীসহ অনেকেই বলেন, মহসিন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
এ বিষয় মহসিন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে সংযোগের বিনিময় টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অফিসের ইঞ্জিনিয়ারদের খরচ বাবদ কিছু টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে বাউফল উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম এ.কে.এম আজাদ বলেন, যারা সাধারণ গ্রহকদের কাছে সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা দাবি করে, তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিন। পটুয়াখালী জেলা পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মোনোহার কুমার বিশ্বাস বলেন, এ কাজে বিদ্যুতের কোনও লোক জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com