পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ স্থানীয় শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে পটুয়াখালীতে বেসরকারি উদ্যোগে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম একটি প্ল্যান্ট চালু হচ্ছে। পটুয়াখালী জেলা শহরের উপকণ্ঠে লাউকাঠী নদীর উত্তর তীরে স্থাপিত ডিজেল চালিত এ প্ল্যান্টটি চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পাশে খলিসাখালী গ্রামে গড়ে তোলা এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির না দেওয়া হয়েছে ‘ইউনিক পায়রা পাওয়ার লিমিটেড (ইউপিপিএল)’। ছয় একর জমির ওপর গড়ে তোলা এ পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে। জার্মান, ফিনল্যান্ড আর ভারতের কারিগরি সহায়তায় এটি স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অন্যতম উদ্যোক্তা পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ। তিনি জানান, প্রায় এক হাজার দুই শ কোটি টাকা ব্যয়ে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এবং এ বিদ্যুৎ পটুয়াখালী গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
পটুয়াখালী ও পার্শ্ববর্তী বরগুনা জেলার স্থানীয় বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পসহ সব ধরনের উন্নয়ন কাজে এখানকার বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প বিকাশ ত্বরান্বিত হবে বলে আমরা আশাবাদ জানিয়ে এমপি ফিরোজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে আমরা এটি চলতি নভেম্বরে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু করা হবে। এখানে স্থাপিত সব যন্ত্রপাতি চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে এবং এটি এখন উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত।’
এ বিষয়ে গ্রিড সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান পলাশ জানান, পটুয়াখালীর এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে এখানকার উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হবে এবং এর মাধ্যমে পটুয়াখালী ও আশপাশের এলাকার বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো অনেকটা সহজ হবে। এ প্ল্যান্টের উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে।’ পটুয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বৈদ্যুতিক সংকটের কারণে পটুয়াখালীতে বড় ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেনি। আশা করি, নবনির্মিত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে এ অঞ্চলে সব ধরনের শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
Leave a Reply