বাউফল প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে জোড়া হত্যা মামলার বাদী ও বাদীর পরিবারের এবং ওই মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জোড়া হত্যা মামলার বাদীর পরিবারের লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১ টায় বাউফল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোড়া হত্যা মামলার বাদীর ভাই কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু। এ সময়ে তিনি বলেন, জোড়া হত্যা মামলার আসামীরা আমাদের পরিবারকে হয়রানি করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা জোড়া হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ওই মামলার আসামি রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী রুমা বেগম গত ৮ নভেম্বর পটুয়াখালী আদালতে একটি চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট । অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই। সংবাদ সম্মেলনে নিহত যুবলীগ নেতা রুমনের মা ফাতিমা বেগম,বড় দুই বোন জেবুন্নেছা অনি ও লাকি, ভাই জিয়াউদ্দিন সুজন, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান টিটু এবং নিহত যুবলীগ কর্মী ইশাত তালুকদারের মা মোসাঃ রেহেনা বেগম ও বাবা মোনায়েম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২ আগষ্ট সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে কেশবপুর বাজারে রুমন ও তাঁর চাচাতো ভাই ইশাদ তালুকদারকে কুপিয়ে হত্যা করে কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মে লাভলুর সমর্থকরা। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে রুমনের বড় ভাই মো. মফিজ উদ্দিন মিন্টু বাদী বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি হলেন মো. রাসেল হাওলাদার (৩৫)। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
এদিকে একই দিনে একই স্থানে দুপুর ১২ টায় চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় না জানিয়ে সাক্ষী করার প্রতিবাদে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন জুয়েল তালুকদার নামে এক ব্যক্তি। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,‘কেশবপুর বাজারে ১২ আগষ্ট, সকাল সাড়ে আটটায় কোনো চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ তাঁকে ৭ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে।’ তিনি সাজানো ঘটনায় না জানিয়ে সাক্ষী করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।পাশাপাশি তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
Leave a Reply