পটুয়াখালী প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়িসহ ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে বেড়িবাঁধের ওপর ঝুপড়িঘর বানিয়ে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বেশিরভাগ মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, পায়রা নদী সংলগ্ন ভয়াং বাজার, কাকড়াবুনিয়া বাজার, মেন্দিয়াবাদ, চরখালী, গোলখালী, ভিকাখালী, সুন্দ্রা কালিকাপুর এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। এছাড়াও মাধবখালী ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ মানুষ। অনেকেই বেড়িবাঁধের ওপর কোনরকমে ঝুপড়িঘর বানিয়ে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ইতোমধ্যেই রামপুর ছিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসা, পূর্ব রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দ্রা কালিকাপুর গ্রামের সুন্দ্রা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সুন্দ্রা হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকার আধা কিলোমিটার দূরে তিনটি বিদ্যালয়ের জন্য টিনশেড ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও সুন্দ্রা হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে সুন্দ্রা বেড়িবাঁধের পার্শ্বে জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে। সুন্দ্রা হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আফরোজা জানান, বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় পার্শ্ববর্তী একটি খালি টিনশেড ঘরে স্থানান্তর করে কার্যক্রম করা হলেও ঘরটি খুবই জরাজীর্ণ।
এ বিষয়ে মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার জানান, মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামটি পায়রা নদীর তীব্র স্রোতে নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি কমিটি গঠন করে ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য একটি চিঠি প্রেরণ করেছি।
Leave a Reply