শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন
কলাপাড়ায় বনবিভাগের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ঘর তোলার ব্যাপক অভিযোগ

কলাপাড়ায় বনবিভাগের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ঘর তোলার ব্যাপক অভিযোগ

কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ কলাপাড়ায় মৎস্যবন্দর মহিপুর বাজারে বনবিভাগের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে ঘড় তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহিপুর বিট অফিসের সামনের জমি বনবিভাগ তাদের জমি বলে দাবী করলেও মহিপুর ভূমি অফিস সে জমি তাদের বলে দাবী করছেন। সেখানে এ আর ফিস নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। ডিসিআর কাটা আছে বলে রাতের আধারে ঘর তুলছে প্রভাবশালী একটি মহল। স্থানীয়রা জানান, মহিপুর ভূমি অফিসের তফসিলদারকে অবৈধপন্থায় ঘুষ দিয়ে এ দখল বাণিজ্য চলছে। অপরদিকে মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দাবী ডিসিআর ছাড়া কোন জমি দখল হচ্ছে না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিপুর মৎস্যবন্দরে ঢুকে আড়ৎপট্টি গেলেই একটি কালভার্টের পরেই বনবিভাগের বিট অফিসের সাইনবোর্ড দেখা যায় এবং বিপরীত পাশেই রয়েছে নদী যার অনেকটাই চরে পরিণত হয়েছে। বন বিভাগের দাবী, চলমান সর্বশেষ বি.এস রেকর্ড অনুযায়ী বিট অফিসের সীমানা হতে বাহিরে নদীর ভিতরেও তারা ৪৮ ফুট পাবে। বি.এস রেকর্ডে মহিপুর বনবিভাগ মোট ১৬ শতাংশ জমির দাবীদার। কিন্তু স্থানীয় ভূমি অফিস সে জমি তাদের দাবী করে ডিসিআর মতে দোকান-ঘর তোলার অনুমতি দিয়ে আসছে। স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করেন, এঘটনা নিয়ে মহিপুর ভূমি অফিস ও বনবিভাগ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় কিছু অসাধূ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ভূমি অফিসের সাথে আতাত করে অবৈধভাবে ফায়দা লুটছে। তাদের মতে, মহিপুরে শুধু বনবিভাগের জায়গা নয় রাতের আধারে এভাবে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে যার কোন সঠিক প্রতিকার পাওয়া যায় না। মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিষয়ে মহিপুর থানায় সাধারন ডায়রী করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে জানা যায়। সেখানে রাসেল আকন নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি রাতের আধারে ঘড় তুলে এ. আর ফিস নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। জমি দখল ও ডিসিআর এর বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নিকট হতে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রকৃত সত্য কোনটি সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। কাগজ দেখতে চাইলে মহিপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এসব কথা এড়িয়ে যান। এবিষয়ে এ.আর ফিস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো: রাসেল আকন বলেন, এ জমিতে আমার ডিসিআর কাটা আছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিসিআর নবায়ন করা আছে। এছাড়াও সেমি পাকা ঘড় তোলার বিষয়ে পটুয়াখালী ডিসি অফিসের অনুমতি রয়েছে। মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো: আজিজুর রহমান জানান, বনবিভাগ যে জমি তাদের বলে দাবী করছে প্রকৃতপক্ষে সে জমি ভূমি অফিসের। ওখানে বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার অনুমতি রয়েছে। যারা ঘর তুলছে তাদের ২০২২ সাল পর্যন্ত ডিসিআর নবায়ন করা আছে।
মহিপুর বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, বনবিভাগের জমিতে মহিপুর ভূমি অফিস তাদের জমি বলে অবৈধভাবে ঘর তুলতে অনুমতি দিচ্ছে।আমি এবিষয়ে মহিপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছি। এছাড়াও আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, তাদের জমি হলে তারা দিনের বেলায় ঘর না তুলে রাতের আধারে ঘর তুলবে কেনো ?

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com