শামীম আহমেদ, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের অফিসের হাটে গতকাল রাত আনুমানিক ৯ঃ০০ ঘটিকার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়। এ ঘটনায় স্বামী মিলন কাজী ও স্ত্রী লুৎফা বেগম সহ তিন জন আহত হয়, আহতদের দুজনকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেরে দেয়া হয়েছে। আহত মিলন ও লুৎফা বেগম জানায় কিছু দিন পূর্বে অভিযুক্ত সুলতান প্যাদার বড় ছেলে মিলনের হোটেল থেকে বিবাহ অনুষ্ঠানের চার হাজার পাঁচশত টাকার মিস্টি বাকীতে নেয়। উক্ত বাকী টাকা চাইতে গেলে প্রথমে লুৎফা বেগমের সাথে অভিযুক্ত মৃত্যু মজিদ প্যাদার ছেলে সুলতান প্যাদা ও আনসার প্যাদার ছেলে আল আমিন প্যাদার সাথে বাকবিতন্ডা হয়, এক পর্যায় অভিযুক্ত দুজন লুৎফাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকলে স্বামী মিলন স্ত্রীকে বাচাতে এলে অভিযুক্ত দুজন সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন মিলে অতর্কিতে দেশিয় অস্র লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায় হামলায় তিনজন আহত হয়। আহতদের দুজন পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত সুলতান প্যাদা ও আল আমিন প্যাদার নিজেস্ব কোন কাজ বাজ না করলেও এলাকায় সালিশি ব্যবস্থা করে বেরায়, অভিযোগ রয়েছে যে,এরা সালিশের নামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অনৈতিক কাজের একাধিক অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। আহত মিলন জানায় দীর্ঘ দিন যাবত ছোট বিঘাই অফিসের হাটে একটি হোটেল দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে তারা, অভিযুক্তরা প্রথমে চাদা দাবী করে আসলেও পরবর্তীতে তারা মিলনের স্ত্রী লুৎফাকে একাধিকবার অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি নাহওয়ায় এই হামলা চালায় বলে মিলন ও তার পরিবার জানায়। মিলন আরও বলেন যে,ইতিপূর্বে অভিযুক্তদের সাথে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও তাদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে দিশেহারা মিলনের পরিবার।আহত লুৎফা বেগম জানায় বেশকিছু দিন যাবত তাকে অভিযুক্ত সুলতান ও আল আমিন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো, তাদের প্রস্তাবে রাজি নাহওয়ায় তার ও স্বামীর উপর পরিকল্পিত এ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা , লুৎফা ও তার পরিবারের উপর এ অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তির দাবী জানান। এ ঘটনায় মামলা প্রকৃয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত মিলন ও স্ত্রী লুৎফা। এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত সুলতান প্যাদার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি পাওনা টাকার কথা স্বীকার করলেও কৌশলে মারধরের কথা এরিয়া জায়। বাজারের ভিতর জনসম্মুখে স্বামী স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় এলাকাবাসী এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তি র দাবী জানান এবং এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানায়।
Leave a Reply