নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অফিস ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের নতুন বাজারস্থ বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর করা হয়। এসময় চেয়ার ছুড়ে মারায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয় বলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানিয়েছে। ঘটনার পর পর কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে রাত ৯টার দিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এসময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে লাগানো দুটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি’র প্রার্থীসহ পৌর নির্বাচনের জনসংযোগ শেষে দলীয় অফিসে অবস্থান করে তারা। এসময় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা অফিসে ঢুকে ২মিনিটের মধ্যে অফিস থেকে সকলকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকী দেয়। এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা অফিস থেকে বের না হতেই দলীয় মেয়র প্রার্থী হাজী হুমায়ুন সিকদারকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে সোহেল, আজাদ সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। নৌকা সমর্থকরা অফিসের বেশ কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বলেন, ’রাত ৯টার দিকে নৌকা সমর্থকরা এসে আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এসময় সিসি ক্যামেরা, জানালার থাই গ্লাস ও লুকিং গ্লাস ভাঙচুর করে।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, ’এ ঘটনা আমার জানা নেই। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছিনা।’ কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: আসাদুর রহমান বলেন, ’বিএনপি অফিসে দু’পক্ষের (আ’লীগ বিএনপি) বাক-বিতন্ডার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।’ কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবদুর রশিদ বলেন, ’বিএনপি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে নির্বাচন অফিসে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ’
Leave a Reply