মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ-বড়াইখাল নুরুল ইসলাম হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মানের এক বছরেই সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সড়কটির বাসন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেসহ সড়কটির বেশ কয়েকটি স্থানে ভেঙ্গে গেছে। সড়কে কাজরে মান খারাপ হওয়ায় পটুযাখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী(এলজিইডি) সরেজিমেনে পরিদর্শন করেন। এতে সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি পূনঃ নির্মানের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এলজিইডি’র সিসিআরআইপি প্রকল্প থেকে দরপত্র আহবান করে এবং কাজটি পান বরগুনার মেসার্স-আল-মামুন এন্টারপ্রাইজ। তবে বরগুনার মেসার্স-আল-মামুন এন্টারপ্রাইজ নামের সড়কের কাজটি করেন মির্জাগঞ্জের মেসার্স আজাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধীকারী মোঃ আবদুস সালাম। ২০১৮ সালের ১ মার্চ কাজের চুক্তিবদ্ধ হয়ে ঠিকাদার কাজ শুরু করেন। যার চুক্তিমূল্য ১ কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫০৯ টাকা। ২০১৯ সালের ১৯ জুন কাজটি শেষে করেই একই তারিখে চুড়ান্ত বিল নেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরুতেই নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলেও ঠিকাদার তাতে কোন কর্নপাত করেননি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ মজিদবাড়িয়া শাহী মসজিদ-বড়াইখাল নুরুল ইসলাম হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে। হাতের ছোয়াঁ দিলেই ও বৃষ্টির পানিতে গুড়া পাথরগুলো অনায়াসে উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে তরিৎগতিতে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করেই সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যেই চলাচলের জন্য সড়কটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। নির্মানের এক বছর যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন অংশের মাঝখান থেকে কার্পেটিং উঠে যেতে থাকে এবং সড়কটি বিভিন্ন স্থানের পাশ দিয়ে ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক নির্মানের নামে চলছে নি¤œমানের কাজের প্রতিযোগীতা।
তৎকালীন সময়ে তদারকিতে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী বর্তমানে কলাপাড়া উপজেলায় কর্মরত মোঃ মনির হোসেন বলেন, রাস্তাটি নির্মাণের সময় কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিল। যদি কোথায়ও রাস্তার বিটুমিন উঠে যায় তাহলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের জামানত আছে। রাস্তাটি মেরামত না করে ঠিকাদার জামানত টাকা নিতে পারবে না। বরগুনার মেসার্স-আল-মামুন এন্টারপ্রাইজের নামের কাজটি নেয়া মির্জাগঞ্জের ঠিকাদার মেসার্স আজাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধীকারী মোঃ আবদুস সালাম বলেন, আমরা সঠিক ভাবে কাজ করেছি। তবে বিটুমিন একটু খারাপ থাকার কারনে যদি সড়কের কার্পেটিং উঠে যায় তা মেরামত করে দিবো। মির্জাগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী(এলজিইডি) মোঃ জলিল মিয়া বলেন, গত ছয়মাস আগে পটুয়াখালী নিবার্হী প্রকৌশলী স্যার শাহী মসজিদ বড়াই খাল নুরুল হক হাওলাদার বাড়ীর সড়কের প্রতিবেদন চেয়েছিল। আমি সড়কটি পরিদর্শন করে যা দেখেছি তাই পাঠিয়ে দিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিআরডি) শেখ আজিমুর রশিদ বলেন, আমি সড়কের ব্যাপারে শুনেছি কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। তবে পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন।
Leave a Reply