কাজী মামুন, পটুয়াখালী ॥ নিহতর পরিবারের দেয়া তথ্য মতে গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় নিহত ব্যাবসায়ী মামুন পাশের বাড়ির চাচার কাছে নৌকার বৈঠা বা হাতল চায় নদির উপারে কোন এক ব্যাক্তির অসুখ দেখতে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়,রাতে পরিবারের লোক নিহত মামুনের মোবাইলে ফোন করলে ফোনটি বন্দ দেখা যায় ।পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে দুরে একটি পরিত্যক্ত ইটের ভাটায় মামুনের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় । লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাতের এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।নিহত মামুন হাওলাদার সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের ছেলে।পটুয়াখালী শহরের নিউ মার্কেটে নাজ সুজ নামে দোকান রয়েছে তার।নিহতর মা প্রতিবেদককে জানান রাতে মামুন তাকে ওষুধ খাইয়ে গেছেন আমার সন্তানের হত্যার বিচার চাই,নিহত মামুনের স্ত্রী সাত মাসের গর্ভবতী। স্ত্রী,বোন, মা বলেন জমি জমা নিয়ে আমাদের কারো সাথে কোন দন্ধ নেই কি কারনে এ হত্যা তা আমরা জানিনা ।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সন্ধ্যার দিকে মোবাইলে একটি কল আসলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় মামুন। পরে রাত ১১ টার দিকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে অনেক খোঁজাখুজি করেও মামুনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ভোরে মিঠাপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ইটের ভাটায় মামুনের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় ।হত্যার ঘটনা শুনে ঘটনা স্থানে মোহাম্মদ মইনুল হাসান পুলিশ সুপার, পটুয়াখালী পরির্দশন করেন।সদর থানার ওসি আখতার মোর্শেদ জানান, মামুনের পিঠে তিনটিসহ শরীরে মোট ১২টি কোপের দাগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন পূর্ব শক্রতার জেরে খুব কাছের বা পরিচিত কোন প্রতিপক্ষ তাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে আমরা আরো বিস্তারিত ভাবে দেখছি ।
Leave a Reply