রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে আগামি ৩০ জুলাই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতার জন্য এই তিন সিটি করপোরেশনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ জুন। যাচাই-বাছাই হবে ১ ও ২ জুলাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জুলাই রাখা হয়েছে। ১৩ জুন তিন সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ ঈদের আগেই তিন সিটিতে নির্বাচনের দামামা বাজবে। কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন এর আগে কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন করে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তার ধারাবাহিকতা ছিল। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো খুলনার নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ঈদের পরপরই গাজীপুর সিটির নির্বাচন। গাজীপুরের পরই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হবে। এই তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে আগামি ২৫ জুলাই পাঁচটি পৌরসভা, পাঁচটি উপজেলা পরিষদ ও কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। আশা করা যায় আগের নির্বাচনগুলোর মতো স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচনও ভালোভাবে সম্পন্ন করে আগামি জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন আস্থার পরিবেশ তৈরির পথে আরো এক ধাপ অগ্রসর হবে।
রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৫ জুন। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এই সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামি ৫ অক্টোবর। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামি ৮ অক্টোবর। বরিশাল সিটির প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে ২৩ অক্টোবর।
স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হলেও বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রাজনৈতিক গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা যাচাই হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে সিটি করপোরেশন বা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এসব নির্বাচন শুরু থেকেই রাজনৈতিক রূপ লাভ করে। কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে বরাবরই এটি হয়ে এসেছে। এসব নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যেই তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে থাকে। এখন তো দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন হচ্ছে। দলের নেতারা চলে আসেন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে। সব মিলিয়ে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হলেও এবারের নির্বাচন গুরুত্ব বহন করছে অন্য কারণে। চলতি বছরকে নির্বাচনের বছর হিসেবে ধরা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ মাসে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কাজেই তার আগে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করব বিগত নির্বাচনগুলোর মতো রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইসি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
Leave a Reply