শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
ফিরে দেখা স্মৃতিতে সিডরের ১৩ বছর

ফিরে দেখা স্মৃতিতে সিডরের ১৩ বছর

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ পরিবারের তিন সদস্য সর্বগ্রাসী সিডরে কেড়ে নেওয়ার পর শোকে স্তব্ধ গলাচিপার কাঞ্চনবাড়িয়ার আবুল পহলান (৬০)। দীর্ঘদিন পেশা হিসেবে মাছ ধরাকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম ঘটনাটি ঘটে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরে। প্রলয়ঙ্করী সিডরে কেড়ে নেয় স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে। সেই থেকেই শোকে পাথর হয়ে যান আবুল পহলান।
নতুন করে পেশা পরিবর্তন করে এখন বাড়ির সামনে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দিচ্ছেন। আর দোকানের পাশেই স্ত্রী-নুরজাহান বেগম ও পুত্রের কবরের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। যদিও নতুন করে বাঁচার আশায় সংসার বেঁধেছেন তিনি। এ ঘরেও রয়েছে একটি শিশুপত্র। কিন্তু সিডরের ক্ষত কাটিয়ে ওঠতে পারেনি এখনো। গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের কাঞ্চনবাড়িয়া গ্রামে সরেজমিনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আমখোলা ইউনিয়নের কঞ্চনবাড়িয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মো. সামসুল পহলান জানান, গলাচিপার আমখোলা ইউনিয়নের ২৭ জন সেদিনের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হানি ঘটে। এর মধ্যে ১৯ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেন উপজেলা প্রশাসন। এখনও প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণি ঝড় সিডরের সেই ক্ষত ঘুচেনি। আবুল পহলান বলেন, ‘সিডরের রাইতে আমার স্ত্রী নুরজাহান (৪০), ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৪) ও একমাত্র মেয়ে হালিমা বেগম (৭)কে নিয়ে রাঙ্গাবালীর চরকলাগাছিয়া ছিলাম।
সন্ধ্যার পর থেকেই বাতাস শুরু হয়। এর পর পানির চাপ বাড়তে থাহে। আমরা বনের মধ্যে একটা মাচায় ছিলাম। হঠাৎ করেই একটা পানির ঢেউয়ে আমাদেরকে মাচাসহ ভাসাইয়া লইয়া যায়।
পরের দিন স্ত্রী নুরজাহান ও ছেলে সাইফুলের লাশ পাইলেও আমার আদরের দুলালী হালিমাকে আজ পর্যন্ত আর পাই নাই। আমার মায়ের কতা (মেয়ে হালিমা) মনে ওডলে আর কিছুই ভালো লাগে না।’ তিনি আরো বলেন, এই দিনে আমাগো গ্রামের ২৭জনকে সিডরে কাইড়া লইয়া গ্যাছে। তাই গ্রামের সবাই মিল্লা আমরা প্রতিবছর দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করি। রবিবার বাদ জোহর এ দোয়া মোনাজাত করা হবে।’ উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে গলাচিপা উপজেলার (রাঙ্গাবালীসহ) ১৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। ক্ষয়ক্ষতি হয় বহু গবাদি পশু ও সম্পদের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com