রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
কঠোর অবস্থানে সরকার

কঠোর অবস্থানে সরকার

দেশ ও জাতির অব্যাহত দাবির মুখে অবশেষে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি ’৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক এক ওয়েবিনারে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসের অভিযোগে মামুনুল-বাবুনগরীসহ হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। এর জের ধরেই সর্বশেষ কেন্দ্রীয় নেতা কুখ্যাত মামুনুল হককে রবিবার গ্রেফতার করে সোপর্দ করা হয় আদালতে রিমান্ডের জন্য। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরও করেছে। হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এই নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য ও নারী কেলেঙ্কারিসহ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ, সন্ত্রাসী কর্মকা-, ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ৩২০ হেফাজত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এর বাইরেও গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের কয়েক নেতাকে হেফাজতকে মদদ দেয়ার অভিযোগে। অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে ২০১৩ সালের রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে সরকার পতন তথা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ। সরকারের এই হার্ডলাইনে যাওয়ায় ইতোমধ্যে জনমনে নেমে এসেছে স্বস্তি। সরকারের বিরুদ্ধে আবারও মাঠে নেমেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আর এর পেছনে রয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলাম। মূলত হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা আল্লামা শফীর মৃত্যুর পরই আলাদা হয়ে যায় হেফাজতে ইসলাম। সম্প্রতি আল্লামা শফীকে হত্যার অভিযোগে বাবুনগরীসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। জামায়াতে ইসলামের দখলে চলে গেছে হেফাজত। এখন দলটির নেতৃত্বে যারা আছে তারা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী। এবার তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের নানা উৎসব-অনুষ্ঠান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার বিরোধিতা ইত্যাদিকে ইস্যু করেছে। এসবের প্রতিবাদে তারা সংঘবদ্ধ ও সশস্ত্র হয়ে হাটহাজারী থানা আক্রমণ করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেল স্টেশনে হামলা ও আগুন জ্বালিয়েছে; ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ দখল করে পুলিশ-জনতা ও সাংবাদিকদের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে, সর্বোপরি যাত্রাবাড়ী ও মালিবাগে সড়ক অবরোধ করে আগুন দিয়েছে বাসে। এর আগে সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লার হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক হামলা এবং বিভিন্ন স্থানে জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙ্গে দেয়ার পেছনেও কাজ করেছে হেফাজত নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য। সাম্প্রতিক হামলায় কয়েকজন নিহত, শতাধিক আহতের খবরও আছে, যাদের মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিক। অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হচ্ছে তারা শাপলা চত্বরের মতো ব্যাপক সহিংস সমাবেশ এবং জ্বালাও-পোড়াও পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে হেফাজত-জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। ইতোপূর্বে দেশবাসীকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সর্বদা সতর্ক ও সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে, এ রকম আঘাত এসেছে ১৯৭৫ সালেও, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সমৃদ্ধির পথে তাঁকে সপরিবারে হত্যাসহ জাতীয় চার নেতাকে নৃশংস ও মর্মান্তিকভাবে হত্যার মাধ্যমে। মূলত দেশী-বিদেশী এসব ষড়যন্ত্রকারীর বিরুদ্ধে সর্বদা সতর্ক ও সাবধান থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রিয় দেশবাসীকে। তারা যেন যে কোন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র রুখে দেন সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে। মুক্তিযুদ্ধের জন্য এ দেশের মানুষ আত্মোৎসর্গ করেছিল যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা লালন করে, সব ধর্মের মানুষ স্ব স্ব ধর্ম পালনের সমান সুযোগ পায়। ধর্মের দোহাই দিয়ে কোন মহল নাশকতা ও নৈরাজ্য চালিয়ে যেতে না পারে। সে ক্ষেত্রে চিহ্নিত ও স্বঘোষিত অপশক্তির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের এটিই প্রকৃষ্ট সময়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com